বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বাউফলে আইনশৃংখলার অবনতির জন্য পুলিশ প্রশাসন দায়ী: চীফ হুইপ

বাউফলে আইনশৃংখলার অবনতির জন্য পুলিশ প্রশাসন দায়ী: চীফ হুইপ

বাউফলে আইনশৃংখলার অবনতির জন্য পুলিশ প্রশাসন দায়ী: চীফ হুইপ

বাউফল (পটুয়াখালী) , ২২ এপ্রিল, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আইনশৃংখলার অবনতির জন্য বাউফল থানার পুলিশ প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করেছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ,স,ম ফিরোজ এমপি।

তিনি আজ (রবিবার) সকাল ১০ ঘটিকার সময় আওয়ালীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ওসিকে লক্ষ্য করে এ কথা বলেন। ওসি মনিরুল ইসলাম আসার পর থেকে উপজেলায় আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে। মাধকদ্রব্য ব্যবসায়ীদেরকে লালন পালন করে বি,এন,পির লোকদেরকে সব সময় সহযোগিতা করে আচ্ছেন।

গত ১৬ সালের ২২ মার্চ উপজেলায় ৪ ইউনিয়ন ব্যাতীত ১০ টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নওমালা ইউনিয়ন ছারা সবকয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী বিজয় হন। নওমালা ইউনিয়ন নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহজাদা তিনি নিজেকে কৃষকলীগের সদস্য বলে দাবি করেন, এবং তাকে সমর্থন দিয়ে আসছেন পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল।

চিফ হুইপ বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর নওমালা ইউনিয়ন ছারা আর কোন ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলেনা। শাহজাদা চেয়ারম্যান হয়েই বিএনপির লোকদেরকে নিয়ে টাকার বিনিময় থানা পুলিশের সহযোতিায় একের পর এক হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির যুব দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (৪৫) সন্ত্রাসীদের হামলায় মারা যান।

ডাঃ সেরাজ বলেন, তিনি একজন হার্টের রোগী (শনিবার) সকাল বেলা রফিক তার কাছে আসলে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

জানা যায়, দুপুর বেলা নওমালা ভাঙা ব্রিজের কাছে আওয়ামী লীগের দুই গ্রপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সেখানে ইউপি সদস্য রফিক চেয়ারম্যান শাহজাদা পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেন এবং আহত হন। পরে রফিককে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত ডাঃ আক্তারুজ্জামান রফিককে মৃত্ ঘোষনা করেন।

ডাঃ আক্তারুজ্জামান শরীরে কোন চিহ্ন নেই বলে প্রথমে সাটিফিকেট দেন, এরপর উপস্থিত লোকদের চাপে পরে একই সাটিফিকেটের মধ্যে পুর্নরায় লিখে দেন যে, সকলের কথা মতো গায়ে দাগ লেখা হল।

ডাক্তারের সাটিফিকেট সাংবাদিকদের কাছে ফটোকপি করে দেওয়া হয়। এব্যাপারে ফোনে ডাঃ আক্তারুজ্জামান সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান সাহজাদা অভিযোগ করে বলেন, নওমালা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য রফিককে হত্যা করা হয়েছে। কামাল বিশ্বাস অস্বিকার করে বলেন, ইউপি সদস্য রফিক একজন হার্টের রোগী, সে হার্ট এটাক হয়ে মারা গেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ও তাকে হয়রানির করার জন্য এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ,স,ম ফিরোজ এমপি বলেন, কিছু নামধারী আওয়ামীলীগ শান্ত বাউফলকে অশান্ত করতেছে। বিএনপির লোকজন নামধারী আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নানা রকম অন্যায় অত্যাচার চালাচ্ছে।

এব্যাপারে ওসি মনিরুল ইসলাম প্রতিনিধিকে জানান ৪৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হত্যা না হাট স্টোক হয়ে মারা গেছে তা ময়না তদন্তের রিপোট হাতে পেলে বুঝা যাবে।

এবিএন/মোঃ দেলোয়ার হোসেন/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত