চিরিরবন্দর (দিনাজপুর), ২২ এপ্রিল এবিনিউজ: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে কাঁকড়া নদী থেকে সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় কলেজের ভবনসহ সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনার হুমকির মধ্যে পড়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী নদীর তীর হতে কমপক্ষে ৭০মিটার দূর থেকে বালু উত্তোলন করার নির্দেশনা থাকলেও বালুমহাল ইজারাদার তা তোয়াক্কা না করে অন্তত শতাধিক ট্রলির মাধ্যমে সরকারি নীতিমালা অমান্য করে জনস্বার্থ্য সংশ্লিষ্ট স্থাপনার ১০মিটারের মধ্য হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে কাঁকড়া নদীর ধারে অবস্থিত কারেন্টহাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. জালালউদ্দিন মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিষেধ করা সত্ত্বেও বালুমহাল ইজারাদার ও ট্রাক্টর ড্রাইভাররা কর্ণপাত না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় কলেজের ভবনসহ সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনার হুমকির মধ্যে পড়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হলেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে নিজেই প্রতিরোধ শুরু করেছি।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় কলেজের ভবনসহ সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনারের নিকট থেকে ট্রাক্টরে বালু উত্তোলনের সময় কলেজ অধ্যক্ষ নিজে দৌঁড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চাবি খুলে নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাক্টরের ড্রাইভার চাবি ছাড়াই ট্রাক্টর চালু করে অধ্যক্ষের গায়ের উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে ওই ড্রাইভারকে ধরে কলেজ অফিসে আটক করে রাখেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ড্রাইভারকে ট্রাক্টরসহ থানায় সোপর্দ করলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আলিম সরকারের মধ্যস্থতায় সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি বালু উত্তোলনের মুচলেকা দিলে তাকে ওই অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় বালুমহাল ইজারাদার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিম বাবু জানান, কলেজের ভবনসহ সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনার রক্ষার্থে নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া আছে। তবে কিছু নতুন নতুন ড্রাইভার না বুঝে এ ভূল করছে।
ট্রাক্টর ড্রাইভার আলিমউদ্দিন, ছপুর আলী, সোহরাব হোসেন বলেন, ইজারাদারের লোকজনের দেখিয়ে দেয়া জায়গা থেকে আমরা বালু উত্তোলন করে থাকি। আমরা উভয় সংকটে পড়ছি।
এবিএন/রফিকুল ইসলাম/জসিম/তোহা