![ঢাকা থেকে আজ বাস যাচ্ছে নেপালে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/23/bus_136471.jpg)
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে আজ ঢাকা থেকে রওনা দিচ্ছে একটি বাস, যার মূল উদ্দেশ্য ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস খতিয়ে দেখা।
আজ যে বাসটি যাচ্ছে তাতে থাকছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দাতা সংস্থা এবং ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিসহ ৪৫ জন যাত্রী।
ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে বাসটি ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে নেপালের কাঠমান্ডু যাওয়ার কথা রয়েছে।
পরীক্ষামূলক এ বাসটি কাঠমান্ডু গিয়ে পৌঁছাবে আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩ দিন সময় নিয়ে বাসটি সেখানে পৌঁছাবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব চন্দন কুমার দে বলছেন যাত্রী, যাত্রীবাহী বাস ও মালামালের জন্য কার্গো পরিবহন সুবিধা, তিনটি বিষয়কেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে শুরু হয়ে রংপুর, বাংলাবান্ধা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি হয়ে শিলিগুড়ি হয়ে কাকড়ভিটা হয়ে কাঠমান্ডু যাবে।
যাত্রাপথে বাংলাদেশ অংশ ও ভারতের অংশে ৩৭ কিলোমিটার অংশ সমতল ভূমি কিন্তু নেপালের অংশের কি অবস্থা সেটাই যাচাই করার জন্য কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করবেন।
চন্দন কুমার দে বলেন, ‘এবার বিভিন্ন স্পটে থেমে থেমে যাবো। এক হাজার কিলোমিটার সড়ক। তবে এবার আমরা বুঝব যে কেমন সময় লাগবে।’
যাত্রীদের জন্য কবে নাগাদ চালু হবে এ বাস সার্ভিস ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি হবে যেটা এবারের এ পরীক্ষামূলক যাত্রার পরই হওয়ার কথা ছিলো। সেটা হয়ে গেলেই আমরা স্থায়ীভাবে চালুর উদ্যোগ নিব।’
বাস যাত্রায় যাত্রীদের খরচ কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্ভিস চালু হওয়ার পর অপারেটররা সেটা ঠিক করবেন তবে বিমানের চেয়ে অনেক অনেক কম হবে।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে এক চুক্তির খসড়া আগেই বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু দূরত্ব কত?
ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধার দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার। বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। কাঁকরভিটা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২০ কিলোমিটার পাহাড়ি খাড়া রাস্তা। সবমিলিয়ে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু ১১০৪ কিলোমিটার সড়কপথ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
খবর বিবিসি বাংলা
এবিএন/সাদিক/জসিম