বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

‘সুপার গনোরিয়ায়’ আক্রান্ত ব্যক্তি অবশেষে সুস্থ

‘সুপার গনোরিয়ায়’ আক্রান্ত ব্যক্তি অবশেষে সুস্থ

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : যুক্তরাজ্যে যে ব্যক্তি সবচেয়ে খারাপ ধরনের দসুপার গনোরিয়াড’ আক্রান্ত হয়েছিলেন, তিনি অবশেষে সুস্থ হয়েছেন।

যৌন স্বাস্থ্যবিষয়ক চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি খুবই ভাগ্যবান এবং এ ঘটনাটি সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা।

যুক্তরাজ্যে তার একজন নিয়মিত সঙ্গী আছে। কিন্তু তিনি রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের পর।

তিনিই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যে অ্যান্টি-বায়োটিক দেয়া হয়ে থাকে, তাতে সুস্থ হননি। তাকে দেয়া অ্যান্টিবায়োটিকের দুটি কোর্সই ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াতেও এ রকম দুটি ঘটনার কথা জানা গেছে।

তাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে এরটাপেনেম নামের আরেকটি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সাফল্য পান।

যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য ইংল্যান্ডের যৌন বাহিত রোগ বিভাগের প্রধান ড. গুয়েন্দা হিউজ বলছেন, একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী গনোরিয়া রোগটি অবশেষে সফলভাবে চিকিৎসা করা গেছে।

আক্রান্ত ব্যক্তির ব্রিটিশ সঙ্গীসহ আর কোনো ব্যক্তির মধ্যে এ ধরনের রোগ আছে কিনা, সেটির তদন্ত শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য দপ্তর। তবে তারা বলছেন, যুক্তরাজ্যে রোগটির বিস্তার হয়নি।

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল একমত হয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী গনোরিয়ায় এটাই একমাত্র উদাহরণ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় আরো দুটি ঘটনার কথা জানার পর চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে এ রকম আরও রোগী পাওয়া যেতে পারে।

ভবিষ্যতে তাদের ক্ষেত্রে আর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ নাও করতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

অনেক দেশেই অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয় এবং যে কোনো দোকান থেকে ইচ্ছেমতো কেনা যায়। সেসব দেশের মানুষের মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী হয়ে ওঠে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন।

গনোরিয়া কী?

এ রোগের মূল কারণ একটি ব্যাকটেরিয়া, যার নাম নেইসেরিয়া গনোরিয়া। মূলত অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার পর নারী ও পুরুষের মধ্যে নানা ধরণের লক্ষ্মণ দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে যৌন অঙ্গ থেকে সবুজ বা হলুদ রঙের পদার্থ বের হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া বা পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া।

যথাযথ চিকিৎসা না নিলে এ থেকে আরও বন্ধ্যত্ব সহ নানা রোগ হতে পারে। অনেক সময় নারীদের এই রোগটি হলেও, তার কোনো লক্ষণ টের পাওয়া যায় না।

সূত্র : বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত