বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • সেনবাগে বিধবা গনধর্ষণের প্রধান আসামী গ্রেফতার

সেনবাগে বিধবা গনধর্ষণের প্রধান আসামী গ্রেফতার

সেনবাগে বিধবা গনধর্ষণের প্রধান আসামী গ্রেফতার

সেনবাগ(নোয়াখালী) , ২৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : সেনবাগের ছাতারপাইয়ার চিলাদিতে আলোচিত বিধবা গণধর্ষন মামলার পলাতক প্রধান আসামী সেলিম (২৫) কে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার রাত ১১টায় কেশারপাড় ইউপির ইটবাড়ীয়া রাস্তার মাথা নামক স্থান থেকে পি বি আই তাকে গ্রেফতার করে। সে ছাতারপাইয়া মজুমদার পাড়ার মিনার হোসেনের পুত্র।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ছাতারপাইয়ায় পুত্রের গলায় চুরি ধরে জরিনা বেগম (৪২) নামের এক বিধবা রাতভর গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। পুত্র সমতুল্য ৩ সন্ত্রাসী মাদক চোরাকারবারী সেলিম(২৪) রুবেল(২০) ও নুরনবী(২৬) পাশবিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রানপন চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি বিধবার। এমন দৃশ্য দেখে পুত্র জায়েদুল(১২) এর চিৎকার শুনেনি তিন নরপশু। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত টানা নির্যাতনে বিধবা জ্ঞান হারালে সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে পালিয়ে যান।

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটনাটি ঘটলে ও ছাতারপাইয়া বাজারে বিচারের নামে প্রহসন ৩ ধর্ষকের দশবার কানে ধরে ওঠবস ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এবং স্থানীয় মাছ কাশেম ও হানিফ সহ সালিশদাররা ৩ নরপশুকে বাঁচানোর চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবং গনমাধ্যমকর্মীরা সক্রিয় হলে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টনকনড়ে। ওইদিন সেনবাগ থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এসআই রফিকুল ইসলাম ও এএসআই সাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত রুবেল ও নুরনবী, সালিশদার মাছ কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।

ভিকটিম জানান,৩ মাস আগে স্বামী আবদুল মতিন মারা যায়। ২০ তারিখ চট্রগ্রামের কর্মস্থল থেকে চিলাদী ব্যাপারী বাড়ীর স্বামীর কবর জিয়ারত ও দেড় বছরের পুত্র জুনায়েদকে দেখতে বড়পুত্র জায়েদুলকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে রওনা দিয়ে রাত ১০ টায় ছাতারপাইয়া বাজারে পৌছি। এসময় জনৈক সেলিমের রিক্সা ভাড়ায় নিয়ে এককিলোমিটার সামনে গিয়ে রিক্সাচালক থামিয়ে ফোনে কথা বলতে না বলতেই আরো দু যুবক ঘটনা স্থলে এসে টেনে হিচড়ে পাশের খালপাড়ে নিয়ে সারারাত পাশবিক নির্যাতন চালায়। পুত্র জায়েদুল মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তার গলায় চুরিবসিয়ে হত্যার হুমকি দেয় নরপশুরা।

শনিবার ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ছাতারপাইয়া - তেমুহনী রোডের ছালা উদ্দিনের ফার্নিচার দোকানে এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধর্ষন ঘটনায় জড়িত রুবেল ও নুরনবীকে হাজির করা হলেও মুলনায়ক মাদক সম্রাট সেলিম থাকে ধরাছোয়ার বাইরে। তার অনুপস্হিতিতে সালিশদার হানিফ ও আবুল কাশেম ওরপে মাছ কাশেম আসামী রুবেল ও নবীকে ১০ বার করে কান ধরে ওঠবস করায় এবং দুজনের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষনা করেন। আর সেলিমের অনুপস্থিতিতে তার ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষনা করা হয়। ৩ ধর্ষক ওই জনপদের মাদক সম্রাট।

ভিকটিমের দায়ের করা মামলায় ৩ জন গ্রেফতার হলেও প্রধান আসামী সেলিম পালিয়ে বেড়ায়। এর মধ্যে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হলে গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইটবাড়ীয়া রাস্তার মাথা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এবিএন/ ফিরোজ আলম ভূঞা রিগান/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত