![সরকারের কাছে বিএফইউজে’র ১০টি পর্যবেক্ষণ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/23/bufj--abn_136552.jpg)
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে ১০টি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
আজ সোমবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠককালে পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাব তুলে সাংবাদিক নেতারা।
একইসাথে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা, গুপ্তচরবৃত্তির সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দিয়ে সাংবাদিকতা ও গুপ্তচরবৃত্তির পার্থক্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছে তারা।
বৈঠকে খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ডিজিটাল এজেন্সি গঠন, বিটিআরসিকে অনুরোধ করার জন্য এজেন্সি গঠন, ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাঠামো ছাড়াও অপরাধ ও দণ্ড অধ্যায়ের ২১ ধারা (মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রচারণা), ২৫ ধারা (আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন), ২৮ ধারা (ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত), ২৯ ধারা (মানহানি), ৩১ ধারা (আইন-শৃঙ্খলার অবনতি) ও ৩২ ধারা (গুপ্তচরবৃত্তি) নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিএফইউজে।
বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেমন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় তেমনি এ আইনটিও যদি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হয় তবে প্রাথমিকভাবে প্রেস কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে একটি কাউন্সিল থাকা জরুরি। যেখানে সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেন, ডিইউজে ও গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ থাকবেন, তারা কোনো গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চাইলে তারা যেন প্রাথমিক বিষয়গুলো বিবেচনা করেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আমরা সবকিছু করব। আর এ আইনের যেখানেই সংশোধন করা প্রয়োজন হয় সেখানেই পরিবর্তন করা হবে। প্রস্তাব দানকারী সবগুলো সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনটি এমনভাবে সংশোধন করা হবে যাতে কেউ ভীত হবে না।
আনিসুল হক বলেন, সম্পাদক পরিষদ এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা যৌক্তিক। তবে কিছু কিছু ধারার বিষয়ে সংসদীয় কমিটির বক্তব্য শুনলে অনেক কিছুই পরিস্কার হবে এবং ধারাগুলো সংশোধনের ব্যাপারে যেসব প্রস্তাবনা এসেছে সেগুলোরও কিছু সংশোধন বা পরিমার্জন বা পরিবর্ধন হবে। তাই এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংসদীয় কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা করা হলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছিল আমাদের কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকলে তা যেন তাদের কাছে জমা দিই।’
‘আমরা আমাদের প্রস্তাবনায় বলেছি, আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পরে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সেফটি নেট সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য থাকা উচিত।’
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি