![২০১৭ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১৩৫০ কোটি ডলার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/23/world-bank_136560.jpg)
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : বাংলাদেশ ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এই হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নবম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। আজ সোমবার অভিবাসন ও উন্নয়ন শীর্ষক সর্বশেষ অবহিতকরণ বৈঠকে বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান। উক্ত সময়ে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয় ৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার আর পাকিস্তানের ১৯ হাজার ৭০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ২০১৭ সালে শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ কমেছে শূন্য দশমিক নয় শতাংশ।
২০১৬ সালে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ অপরিবর্তীত রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত ও মালয়েশিয়া। এ দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আর্জিত হতে থাকায় দেশটিতে এখন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
সংস্থাটির সভায় মন্তব্য করা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৭ সালে সৌদি আরবের শ্রমবাজার জাতীয়করণের ধাক্কা এড়িয়ে যেতে পারত, যদি তার আগে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ৪ লাখ শ্রমিক দেশটি পাঠিয়ে দিত। ওই চুক্তির আওতায় শ্রমশক্তির অর্ধেকই নারী শ্রমিক হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রপ্তানি কার্যক্রমের গতি মন্থর হয়ে পড়ে। চুক্তি হওয়ার মাসে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫৯ হাজার ৩৮২ জন শ্রমিককে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। অথচ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ হাজার ৩৮ জনকে পাঠানো হয়েছিল।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১২টি দেশে সমন্বয়কারী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের ‘ব্যুরো অফ ম্যানপাওয়ার অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং’ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ‘ইউনিভার্সাল মেডিকেলের’ সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি