![লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুৎতের ঠিকাদার সন্ত্রাসী হামলায় আহত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/24/lalmonirjhat-map@abnews_136662.jpg)
লালমনিরহাট, ২৪ এপ্রিল, এবিনিউজ : চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় বাদশা আলমগীর নামে লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুৎতের এক ঠিকাদার গুরুত্বর আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎত সমিতির কুড়িগ্রাম ত্রীমোহনী বাজারে তার উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ওই ঠিকাদার লালমনিরহাট পৌরসভা শহরের খোঁচাবাড়ি এলাকার মমতাজ আলীর ছেলে ও মেসার্স চন্দন এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের মালিক। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আজ মঙ্গলবার পল্লী সমিতি’র কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেছেন দুই জেলার ৪৭ ঠিকাদার।
অভিযোগে জানা গেছে, লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎতের সমিতির কুড়িগ্রামের ত্রীমোহনী বাজারের অফিসের আওতায় থাকা ঠিকাদাররা কোন কাজ পেলেই বা অফিস থেকে কোন মালপত্র বের করলে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে শুরু হয় মারপিট। চাঁদা ছাড়া কোন কাজ করতে পারেন না ঠিকাদাররা। সোমবার ত্রীমোহনী অফিসের মালখানায় বিদ্যুৎতের সরঞ্জম বুঝে নিচ্ছেন ঠিকাদার বাদশা আলমগীর। এ সময় অপরিচিত দুই যুবক তাকে জোরপুর্বক ত্রীমোহনী বাজের ডেকে নেন। সেখানে থাকা ১০/১২জন স্থানীয় সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঠিকাদারকে বেধম মারপিট করে। পরে আহত ঠিকাদার বাদশা আলমগীরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এর আগের দিন ওই সন্ত্রাসীরা বিদ্যুৎতের অপর ঠিকাদার মেসার্স হাবিব ব্রাদার্সের মালিক এসএম তৌহিদুর রহমানকে ত্রীমোহনী বাজারের একই ভাবে মারপিট করে। এসব ঘটনার বিচার ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করে মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৭ জন ঠিকাদার বিদ্যুৎতের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে আহত ঠিকাদার বাদশা আলমগীর জানান, তিনি গত ৮ মাস আগে হৃদযত্রের অস্ত্রপাচার করেন। সংসার চালাতে অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজে বের হয়েছেন। এ মারপিটের ঘটনায় তিনি বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছেন। অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এতে কিছু না হলে আদালতের আশ্রয় নিবেন বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বাদশা আলমগীর বুকে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছেন। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি হৃদযন্ত্রের রোগী হওয়ায় আশংকা মুক্ত বলা যাবে না।
লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী মমিনুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/ আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/নির্ঝর