![শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত বাউফলের ১০৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/24/potuakhali_abnews24_136668.jpg)
বাউফল (পটুয়াখালী), ২৪ এপ্রিল, এবিনিউজ: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ২৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০৮টিতে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। এতে ব্যাহত হচ্ছে লেখাপাড়া ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। অবসর গ্রহণ,অন্যত্র বদলি ও মৃত্যুজনিত কারনে পদগুলো শূন্য হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে । সহকারি শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চালানো হয় ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তাদের বেশী সময় উপজেলা সদরে শিক্ষা অফিসে অফিশিয়াল কাজে আসতে হয়। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ।
উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ২৩৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১০৮টিতে প্রধান শিক্ষক নেই, চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। ৬০টি স্কুলে সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় স্কুলগুলোতে লেখাপাড়া চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম।
এছাড়া উপজেলার কয়েকটি চর নিয়ে চন্দ্রদীপ ইউনিয়ন গঠিত। সে ইউনিয়নের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে মাত্র দুই থেকে তিন জন শিক্ষক দিয়ে কোন রকম চলছে পাঠদান। আবার মাঝে.মাঝে শিক্ষকের অভাবে পিওন দিয়ে চালানো হয় পাঠদান, ফলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের কাঙ্কিত শিক্ষা থেকে। প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফিরোজ প্রতিনিধিকে জানান,প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের সংকটের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান ও পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার নাজিরপুর ইউপির ছয়হিস্যা তাতেরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন কুমার দেবনাথ বলেন, তিনি ২০১৫ সার থেকে একই বিদ্যালযের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল হক জানান,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃতীয় শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় শ্রেনীতে উন্নত করায় শূন্য পদের চেয়ে চাহিদা বেশী। শূন্যপদ পূরনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা