![ঝিনাইদহে ইভটিজিংয়ের দায়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহিস্কার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/24/boriskar_abnews_24_136719.jpg)
ঝিনাইদহ ,২৪ এপ্রিল, এবিনিউজ : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিএইচজিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ৮ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া ১৭ ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের সত্যতা মেলায় মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কামরুল ইসলাম তাদেরকে স্কুল থেকে বহিস্কারের নির্দেশ দেন।
স্কুলের শিক্ষার মান নিশ্চিত, মেয়েদের ইভটিজিং বন্ধ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বহিস্কৃতরা হলেন বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ৮ শিক্ষার্থী নিশান, খাব্বার, অপু দাস, সুজন, পিয়াল, সাব্বির, আহসান ও জাবারুল।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ বহিস্কৃতরা প্রতিনিয়ত তাদের শরীরে হাত দিয়ে উত্যক্ত করতো এবং স্কুলে ও রাস্তায় অশ্লীল কথাবার্তা বলতো। এ নিয়ে কয়েক দফা অভিভাবক ডেকে বিচার বসিয়েও শান্ত হয়নি তারা। ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার ১৭ ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
এরই পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় ৮ ইভটিজারকে স্কুল থেকে বহিস্কার করেছেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম।
জিএইচজিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, দশম শ্রেণির ৮ জন ছাত্র কোন শিক্ষকের কথা শুনতো না। মেয়েদের নানা ভাবে হয়রানী ও ইভটিজিং করতো। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিভাবক ডেকে মিটিং করে জানানো হয়েছে। তার পরেও ছেলেগুলো কথা শুনতো না।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার তার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ১৭ মেয়ে শিক্ষার্থী মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম, মহেশপুর থানার ওসি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইউএনও নিজে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেন এবং ম্যানেজিং কমিটিকে ৮ জনকে স্কুল থেকে স্থায়ী বহিস্কারের নির্দেশ দেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তারা খুব দুষ্টু। কারো কথা শুনতো না। ইউএনও সারের নির্দেশে তারা স্কুল থেকে তাদের বহিস্কার করেছেন।
ইউএনও কামরুল ইসলাম বলেন, মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে বাধ্য হয়েই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এবং বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদরে সাথে কথা বলে প্রমাণিত হয় ৮জন ছেলে প্রতিনিয়ত মেয়েদের ইভটিজিং করে।
আমি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি ইভটিজারদের স্কুল থেকে বহিস্কারের জন্য। এতে অন্য বিদ্যালয়গুলোতে যাতে ছেলেরা ইভটিজিং না করতে পারে।
এবিএন/যবনিকা/জসিম/এনকে