![গত বছর এডিবির বার্ষিক অর্থায়ন কর্মকাণ্ড ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/25/adb_136763.jpg)
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : ২০১৭ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণদানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে ব্যাংকটির ঋণদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বহুমুখী ঋণদান সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ব্যাংকটির এই বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের বছরের চেয়ে উল্লেখিত বছরে ব্যাংকের ঋণদান কর্মসূচি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনে বিগত বছরে ব্যাংকটির সার্বিক কর্মকা- তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৭ সালে এডিবির মোট ঋণদান কর্মসূচি ছিল ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরম ধ্যে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ, মঞ্জুরি এবং বিনিয়োগে করা হয় ২০.১ মার্কিন ডলার। এ পরিমাণ ২০১৬ সাল থেকে ৫১ শতাংশ বেশি।
এডিবির প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও বলেন, আমরা ২০১৭ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো উন্নয়ন প্রয়োজন মেটাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের এ ঋণদান কর্মসূচি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা অঞ্চলের বহুমুখী এবং সুনিদিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও দ্রুত নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি ও জ্বালানীর ক্রমবর্ধমান চাগিদার মতো প্রয়োজন মেটাতে আরও বেশি করে অর্থসহায়তা দিয়ে যাব।
এডিবি ২০১৭ সালে জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবিলায় রের্কড পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন দিয়েছে। অর্থের এ পরিমাণ, আগের বছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় ব্যাংকের বার্ষিক ঋণদানের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এডিবি এক্সর্টানাল ফাইন্যান্স থেকে অতিরিক্ত ৬০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করবে। ২০১৭ সালে মোট জলবায়ু সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকল্প অর্থায়ন বাড়াতে এডিবির জন্য অংশীদারিত্বের গুরুত্ব এবং জ্ঞান ও বিশেষজ্ঞ উন্নয়ন শেয়ারিং এর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এডিবি ২০১৭ সালে দাতাদের সহায়তায় নতুন ৫টি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এগুলো হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল প্রডাক্ট, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বেসরকারি সেক্টরের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, নগর অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ সহায়তা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি করা, অবকাঠামো প্রকল্প নকশায় উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার।
বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিবির কো-ফাইন্যান্সিং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য কম হয়েছে। ২০১৭ সালে হয়েছে ১১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৬ সালে ছিল ১২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এডিবি’র প্রেসিডেন্ট নাকাও বলেন, আমরা লোন বিতরণ এবং ফাইন্যান্সিংয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সুনিদিষ্ট পদক্ষেপ নিব। ২০১৭ সালের এপ্রিলে এডিবির নতুন প্রক্রিউরমেন্ট নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। ব্যাংকের সম্পদ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে।
বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭ বিগত বছরের চেয়ে অধিক ব্যাংকভিত্তিক হয়েছে।
খবর বাসস
এবিএন/সাদিক/জসিম