বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সাঘাটায় আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু

সাঘাটায় আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু

সাঘাটা (গাইবান্ধা), ২৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে ক্ষেতের পাকা ধান রক্ষার জন্য কৃষকেরা এখন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় অনেকটা খুশি হয়েছেন কৃষকরা।

সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। তারমধ্যে বি.আর-২৮ জাত ৬ হাজার ৪শ’ ২৫ হেক্টর, বি.আর-২৯ জাত ৪ হাজার হেক্টর এবং বাকী অন্যান্য সকল জাতের ধান আবাদ করেছে কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাঘাটা উপজেলার সর্বত্রই ইরি বোরো আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। আগাম জাতের বি.আর-২৮ জাতের ধান মাঠে পাকা শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আতংকে কৃষকরা কিছুটা আগে ভাগেই ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে।

কচুৃয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন, আব্দুল বাকী সরকারসহ অন্যান্য কৃষকরা জানায়, ইতিমধ্যেই তারা আগাম জাতের ব্রি-২৮ ধান কাটা শুরু করেছেন। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৯ মণ। তাছাড়া গো-খাদ্যের সংকটের কারণে ধান গাছের প্রতি আটি বিক্রি করা হচ্ছে ৩ টাকা করে। এতে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। তাতে উভয় দিকেই লাভবান হচ্ছে কৃষক।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ রায় জানান, এবার কৃষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কোন সেচ সংকট ছিলনা। সময়মত সার ও বালাইনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়ায় ফসল ভালো হওয়ায় উৎপাদন বেড়ে গেছে। এছাড়াও কৃষকদের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মুবিনুজ্জামান চৌধুরী জানান, কৃষি বিভাগের তদারকি প্রশিক্ষণ ও কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক শিলা বৃষ্টি হলেও তা বোরো ক্ষেতের তেমন ক্ষতি করেনি।

এবিএন/আসাদ খন্দকার/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত