![কলাপাড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা হয়রানির শিকার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/25/potuakhali_abnews24_136870.jpg)
কলাপাড়া (পটুয়াখালী), ২৫ এপ্রিল, এবিনিউজ: কলাপাড়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধ করেও গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যাদের কাছে বিল পরিশোধের পুরনো রশিদ আছে তারা অর্থদন্ড থেকে রেহাই পান আর যারা পুরনো রশিদ সংরক্ষন করেন না তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
কলাপাড়া পৌর শহরের নাইয়াপট্টি এলাকার মীর আব্দুল বারেক অভিযোগ করেন, তাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি নোটিশ দিয়ে জানানো হয় ৫৪১৯ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তার ৭২৬-১৭৮০ হিসাব নম্বরের ওই বকেয়া পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মামলা করার কথা বলা হয়। অথচ সে ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল বকেয়া ৫৪১৯ টাকা পরিশোধ করেছেন। এমনকি ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সমুদয় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের একটি প্রত্যয়নপত্র তাকে দেয়া হয় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র কলাপাড়া জোনাল অফিস থেকে। বারেক মীরের মত এমন হয়রানির শিকার পৌর এলাকার বহু গ্রাহক।
তারা জানান, অধিকাংশ গ্রাহকই ২-৩ বছর আগের পরিশোধ করা বিল কপি অনেকেই সংরক্ষন করে না আর এটাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। হিসাব নম্বর ৭২৪-১৪৬০ এর গ্রাহকের প্রশ্ন তার এপ্রিল-১৮ মাসের বিদ্যুৎ বিলের মূল বিদ্যুৎ চার্জ ৮৯৯ টাকা ৫০ পয়সার স্থলে লেখা হয়েছে ৯০০ টাকা। আবার ভ্যাট হওয়ার কথা ৪৬ টাকা ২৫ পয়সা। সেখানে লেখা হয়েছে ৪৭ টাকা।
গ্রাহক কেন বেশি দিবে। কেন খুচরা পয়সা ৫০ পয়সার নিচে থাকলে তা বাদ দেয়া হয় না। পল্লী বিদ্যুতের এহেন বাড়তি টাকা পয়সা নেয়ার কারন কি তা জানতে চাইলে কোন জবাব মেলেনি। এভাবে কলাপাড়া উপজেলায় ২১ সহ¯্রাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি মাসে এক টাকা করে বেশি নেয়া হলে গ্রাহকের অন্তত ২১ হাজার টাকা। বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে। ১০ বছরে প্রায় ২৫ লাখ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জানান, গ্রাহকরা অবহিত করলে সমাধান করে দেয়া হয়। কিংবা পরের মাসের বিল থেকে সমন্বয় করে দেয়া হবে।
বিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া এলাকার পরিচালক প্রভাষক ইউসুফ আলী জানান, গ্রাহকের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
এবিএন/তুষার হালদার/জসিম/তোহা