![ওআইসি সম্মেলন: ৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনল সরকার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/25/bmw-car-fow-oic_136871.jpg)
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, এবিনিউজ : ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সম্মেলন উপলক্ষে বিলাসবহুল ৩০টি বিএমডব্লিউ সিডান সেভেন সিরিজের গাড়ি আমদানি করেছে সরকার।
সরকারি যানবাহন অধিদফতরের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত এসব প্রতিটির গাড়ির দাম পড়েছে ৬২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। সব মিলে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বিদেশি অতিথিরা ব্যবহার ছাড়াও সম্মেলনের দায়িত্বরতরা এই গাড়িগুলো ব্যবহার করবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দেয়া একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে গত রবিবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, এর আগে কমিটি অধিদফতরের গাড়ি কেনা সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ জানতে চেয়েছিল; যার প্রেক্ষিতে এসব তথ্য উপস্থাপন করে অধিদফতর।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কার্যপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ শাখা প্রতিটি গাড়ির ক্রয়মূল্য শুল্কমুক্তভাবে ৮০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ধার্য করে দেয়। কিন্তু অধিদফতর উন্মুক্ত দরপত্র ও তাদের ভাষায় ‘সফল আলাপ-আলোচনার’ মাধ্যমে প্রতিটি গাড়ি ৬২ লাখ ১৮ হাজার টাকায় কেনে। গাড়ি প্রতি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা কম খরচ করেছে। সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, সম্মেলন শেষে এসব গাড়ি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। ভবিষ্যতে আমন্ত্রিত অতিগুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের জন্য এসব গাড়ি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের কেনা গাড়ি অতীতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীদের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
কার্যপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, অধিদফতর কর্তৃক গাড়িগুলো সার্বক্ষণিক প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন। জনবল থাকলে সঙ্গে ড্রাইভারও পদায়ন করা হয়। ওই সব গাড়ি নিয়মিত সার্ভিসিং এবং প্রয়োজনীয় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ, সংযোজন ও মেরামত কাজও সরকারি কারখানায় করা হয়।+
সরকারি আদেশ অনুযায়ী, এসব গাড়ির মেয়াদ আট বছর পার হলে নিলামের মাধ্যমে বেচার ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিন্তু এখন অনেকের পদোন্নাতি হওয়ায় কর্মকর্তার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম। তাই নিলামে বেচা যাচ্ছে না। কখনও কখনও ১৫ থেকে ২০ বছর গাড়িগুলো ব্যবহার করা হয়। তাতে মেরামত ব্যয় বেড়ে যায়। তাই অধিদফতর আট বছর পর গাড়িগুলো বিক্রি করে টাকাগুলো রাজস্ব খাতে জমা নিয়ে নতুন গাড়ি কেনার পক্ষে মত দেয়।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি