রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo

বড়পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারী সংবাদ সম্মেলন

বড়পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারী সংবাদ সম্মেলন

পার্বতীপুর (দিনাজপুর), ২৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১৩ দফা ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ৬ দফা দাবি আদায়ে খনির প্রধান গেটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ২৬শে এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও খনির ক্ষতিগ্রস্থ ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ১৩ দফা ও ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি নং- রাজ ২৬৪৭ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সুফিয়ান ১৩ দফা দাবিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দাবিগুলো তুলে ধরেন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম (রবি) ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১২ মে এর মধ্যে ১৩ দফা দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ মেনে না নিলে ১৩ মে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ঘোষণা করা হবে।

দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে বর্তমান চুক্তির ২.১৬.৩ অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটি, ধর্মীয়, ঈদ উৎসব, সরকারি ছুটি ও নৈমিত্তিক ছটির প্রাপ্য মঞ্জুরী প্রদান করতে হবে, রেশনিং ব্যবস্থা চালু আছে, বিধায় নতুন টেন্ডারে চালু রাখতে হবে, কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে একই সার্কুলারে কর্মচারী নিয়োগ এবং অগ্রানোগ্রাম অনুযায়ী আউট সোর্সিং শ্রমিক স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে, সকল আন্ডার গ্রাউন্ড শ্রমিকদের ৬ ঘন্টা ডিউটি করাতে হবে, চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত লোক নিয়োগ দিতে হবে, প্রতি বছর শতকরা ৪০% দক্ষ শ্রমিক উন্নীত করতে হবে, নতুন এমপিএমএন্ডপি চুক্তিতে এক্সএমসি/সিএমসি কনসোর্টিয়ামের সকল শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিসিএমসিএল কর্তৃক তৃতীয় পক্ষের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

এদিকে বড়পুকরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটি সাংবাদিক সম্মেলনে ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দাবিগুলো পাঠ করেন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান বুলবুল। তাদের দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে পাতরাপাড়া, বাঁশপুকুর, বৈদ্যনাথপুরের বাড়ী-ঘর ভেঙে মানুষ বিপদগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরের দ্রুত স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

পাতরাপাড়া থেকে বড়পুকুরিয়া হয়ে বৈগ্রাম পর্যন্ত নতুন বাইপাস মাটির রাস্তাটি পাকা করতে হবে এবং কয়লা খনি থেকে চৌহাটি ও চৌহাটি থেকে কাজীপাড়া হয়ে ধুলাউদাল পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রতিটি পরিবার থেকে খনিতে চাকুরি দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত বাদ পড়া ঘর বাড়ি, গ্রাম, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, মাদ্রাসার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়োজিত কয়লা খনিতে নিয়োজিত প্রায় শতাধিক কর্মচারীকে স্থায়ীকরণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে যৌথভাবে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম (রবি), সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মো. মশিউর রহমান বুলবুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এবং সকল দপ্তরে তারা লিখিত দাবি সমূহের স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ৫ শতাধিক শ্রমিক ও নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/এম এ জলিল সরকার/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত