বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • সেনা মোতায়েনে না, স্যোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ চায় ইসি
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে ইসি’র সংবাদ সম্মেলন

সেনা মোতায়েনে না, স্যোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ চায় ইসি

সেনা মোতায়েনে না, স্যোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ চায় ইসি

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : আসন্ন খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হচ্ছে না বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সাধারণত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয় না। এবারও হবে না। তবে পর্যাপ্তসংখ্যক নিয়মিত বাহিনীর (পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার) সদস্য থাকবেন।’

পাশাপাশি গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে অপপ্রচার ও গুজব ছাড়ানো রোধে স্যোশাল মিডিয়া (সামাজিক মাধ্যম) নিয়ন্ত্রণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য বিটিআরসি ও অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে এ দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

বিরোধী দলে থাকলে বরাবর স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানায় বিএনপি। তবে নির্বাচন কমিশন সব সময় সেই দাবি অগ্রাহ্য করেছে।

ইসি সচিব বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই সেনা মোতায়েন করা হবে না-এ সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের।’

‘আগেও বলেছি আমরা; বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশসহ আধা সামরিক বাহিনী থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক। প্রয়োজনে দেশের অন্য এলাকা থেকে আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য আনা হবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে।’

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বিএনপির দাবি অগ্রাহ্য করলে দলটির আস্থা থাকবে কি না-এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশনের প্রতি তাদের (বিএনপি) আস্থা রয়েছে বলেই সিটি নির্বাচনের ভোটে অংশ নিচ্ছে। আস্থা না থাকলে তারা তো এই নির্বাচনে আসত না।’

সচিব বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত ২৭ দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়েছে বলে প্রতিবেদন আসেনি। আইনশৃঙ্খলা বৈঠকেও বাহিনী প্রধানরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন।’

এ দুই সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে কোনও রকম গুজব না ছড়ানো হয় সেজন্য বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করবে বলে সচিব জানান।

সামাজিক মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চিন্তার কারণ ব্যাখ্যা করে কমিশন সচিব বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভোটেও অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে।’

‘বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব যেন না ছড়ায় সেজন্যে কীভাবে স্যোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা গুজব ছাড়া ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। তবে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন।’

ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন।

হেলালুদ্দীন বলেন, ‘আগে কোথাও কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। আমরা চাই মিডিয়া ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে যেনো ভুল বুঝাবুঝি না হয়। সেজন্য গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।’

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশন দু-একটি ওয়ার্ডে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা করছে ইসি। তবে এখনও ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়নি।

দুই নগরে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের কথা থাকলেও এখনও কেন্দ্র নির্ধারণ হয়নি বলে জানান সচিব। তবে তিনি জানান, সল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা।

হেলালুদ্দিন আহমদ জানান, আগামী ১৫ মে নির্বাচনের দিন গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হবে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) ও পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে আজ সকাল ১১টা থেকে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি-র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা-গাজীপুরের প্রশাসন-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে ভোটকে সামনে রেখে গাজীপুর এবং খুলনায় শুরু হয়েছে প্রচার যুদ্ধ। গাজীপুরে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার। আর খুলনায় লড়াই হবে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মধ্যে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত