ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এক সঙ্গে কাজ করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার পিলখানায় ৪৬তম বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নে বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা বলেন, ‘সীমান্তে আর কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না। এমনকি আর কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনও হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ভারত মানবাধিকারে বিশ্বাস করে। ভারত কিংবা বাংলাদেশের কোনো বাহিনীর কাছেই সীমান্ত হত্যা কাম্য নয়। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করছি। সীমান্তে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক এটা বিএসএফ কখনোই চায় না।’
কে কে শর্মা বলেন, ‘বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহারের ফলে সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে। ২০১৪ সালে সীমান্তে হত্যার ঘটনা ছিল ১৬টি। তবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো হত্যার ঘটনা ঘটেনি। তবে এ কৌশল (নন লিথেল অস্ত্রের ব্যবহার) অবলম্বনের ফলে বিএসএফ সদস্যদের ওপর অপরাধীদের আক্রমণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।’
বিএসএফ সদস্যরা শুধু আত্মরক্ষার্থেই নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হয় বলেও দাবি করেন কে কে শর্মা।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘বহিরাগত নাগরিকদের বর্ডার পারাপার বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কাজে লাগিয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কোনো অপকর্ম কিংবা ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সে ব্যাপারে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে দু’দেশের সীমান্ত বাহিনী।’
বিজিবির ডিজি বলেন, ‘বিএসএফ এখন নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করছে। ফলে তারা বিভিন্ন সময় আক্রমণের শিকার হচ্ছেন সত্যি। তবে, এতে সীমান্ত হত্যা ক্রমেই কমে আসছে, চলতি বছর চার মাসে একটি হত্যার ঘটনাও ঘটেনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেলানীর বিষয়টি ভারতীয় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো।’
সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র অনুপ্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে এজেন্ডা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি