
পিরোজপুর, ২৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একটি পুলিশ ফাঁড়ির কয়েক’শ গজ দূরে স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এ সময় তার শ্যালীকাকেও কুপিয়ে আহত করে সে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঘাতক আপন সারেং (৩২) কে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়।
স্থানীয়রা জানায় জাহাঙ্গীর ফকির (৪০) এবং তার দুই মেয়ে রিপা (২১) ও হীরা (১৪) পাড়েরহাট বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় তারা স্থানীয় শহীদ মিনার অতিক্রম করার পর পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আপন তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এবং তাদের উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এতে আহত জাহাঙ্গীর ও তার এক মেয়ে রিপা পাশের একটি নালার মধ্যে পড়ে যায়। খবর পেয়ে তিন যুবক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের তিন জনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর ও রিপাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ঘাতক আপনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
নিহত জাহাঙ্গীরের বোন শিল্পী জানায়, প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে শরিয়তপুর জেলার নাড়িয়া উপজেলার আলাউদ্দিন সারেং এর ছেলে আপনের সাথে বিয়ে হয় পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে রিপার। এই দম্পতির তিন বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায়ই মাদকাসক্ত আপন তার স্ত্রীকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। তাই জাহাঙ্গীর তিন বছর পূর্বে তার মেয়েকে পাড়েরহাটের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। সেখানেও একইভাবে রিপাকে নির্যাতন করত আপন। এ ঘটনায় একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়েছে। আজ শুক্রবারও পুনরায় সালিশ বৈঠকের কথা ছিল। অন্যদিকে আহত হিরা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আইনী বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার।
এবিএন/সৈয়দ বশির আহম্মেদ/জসিম/নির্ঝর