বগুড়া, ২৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : জেলার শেরপুর উপজেলায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এতে শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ মামুন (৪০) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক (৩৮)।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তারা হলে নিহত মামুনের স্ত্রী ফারজানা ববি (৩০) ও তার মা রুনা লায়লা (৫৬)। এর মধ্যে তার মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নিহত মামুনের দুই বছরের শিশুটি অক্ষত রয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উপজেলার ঘোগা বটতলা এলাকা সংঘর্ষ হয়। আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন লিডার ইয়াসিন মোল্লা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল আজিজ মন্ডল জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বগুড়ার শেরপুরে ঘোগা বটতলা এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই দুইজন মারা যান। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন ফারজানা ববি জানান, তার ছোট বোন নিপাকে (২৮) কিডনিজনিত সমস্যায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছিল। সেখানে নিপা মারা যাওয়ার পর তাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ঘোগাবটতলা এলাকার উজ্জ্বল জানায়, দুর্ঘটনার পরপরেই আহত দুইজন নারীসহ ফারজানা ববির দুই বছরের সন্তানকে নিয়ে তিনি দ্রুত শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, উজ্জ্বল নামের ওই যুবক দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এদিক-ওদিক কোলে নিয়ে ঘুরছেন। এটা-ওটা শিশুটিকে খাবার কিনে দিলেও শিশু কিছুই খাচ্ছে না। এদিকে কিছুক্ষণ পরপরেই ফারজানা ববি হাসপাতাল বেডে চিৎকার করে স্বামী ও সন্তানকে খুঁজছেন। অসুস্থ থাকায় সন্তান তার কোলে দেয়া হচ্ছে না।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি