বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • জঙ্গি হামলায় নিহত আনসারুলের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

জঙ্গি হামলায় নিহত আনসারুলের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

জঙ্গি হামলায় নিহত আনসারুলের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

মদন (নেত্রকোনা), ২৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল আনসারুলের পরিবারের সদস্যকে সরকারি চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ২ বছর পেরিয়ে গেলেও নিহতের ছোট ভাইয়ের ভাগ্যে আজোও জুটেনি সরকারি চাকুরি। আনসারুল নিসন্তান থাকায় তার মা রাবিয়া খাতুন পরিবারের ১৫ জন সদস্য নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামায়াতে কর্তব্যরত অবস্থায় চেকপোষ্টে তল্লাশিকালে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় নেত্রকোনার মদন উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আনসারুল শাহাদৎ বরণ করেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি বর্তমানে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভিটেবাড়ি ছাড়া অন্য কোন সহায়-সম্পদ না থাকায় আনসারুলের ওপর নির্ভরশীল ছিল পুরো পরিবারটি।

আনসারুলের মা রাবেয়া খাতুন সরকারি আর্থিক সহযোগিতা না চেয়ে এক বেলা পেটপুরে খাওয়ার জন্য তারই ছোট ছেলে মাহামুদুল হাসান আইনুলকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুির দেওয়ার জন্য প্রশাসনের ধারে ধারে দুই বছর ঘুরেও সরকারি কোনো চাকুরীর ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

গত ১২ জানুয়ারি ২০১৮ইং তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়,ঢাকায় অফিস সহায়ক হিসেবে আনসারুলের ছোট ভাইয়ের পরীক্ষা অনুুুুুুুুুুুুুুুুষ্ঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৪ জানুয়ারি ২০১৮ইং তারিখে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, ডি আইজি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ এর মাধ্যমে যুগ্ম-সচিব ও সদস্য সচিব বিভাগীয় নির্বাচন কমিটি সুরক্ষা সেবা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠান।

অপরদিকে নাগরিকত্বের সনদ পত্রে অতিরিক্ত সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ড. রাখাল চন্ত্র বর্মণ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে অফিস সহায়ক পদের জন্য সুপারিশ করলেও উক্ত দুটি সুপারিশে কোন একটিতেও নিহতের ছোট ভাইয়ের কোন চাকুরি হয়নি। বাচাঁর জন্য পরিবারের ছোট ছেলের একটি সরকারি চাকুরি চায় মা রাবেয়া খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা। পরিবারটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

নিহত পুলিশ কনস্টেবলের মা রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে শহীদ আনসারুলেই ছিলো আমার পরিবারের একমাত্র আয় রোজ-গারের উৎস। তার ছাড়া আমি সব সময় অন্ধকার দেখতাম। আমি সবার কাছে গেছি আমার এক পোলা দেশের জন্য জীবন দিছে, আমার আর এক পোলাকে সরকারি একটি চাকুরি দিয়া আমার পরিবারকে বাচাঁন। ছেলের মৃত্যুর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমার দেখা হয়েছে। আবেগে কিছুই বলতে পারি নাই।

তিনি বলেছিলেন, আমি আপনজন হারানোর কষ্ট বুঝি আমাকে বলে বুঝাতে হবে না। এ বলে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তবে উনার সাথে আবারো স্বাক্ষাৎ করে বলতে চাই, আমার ছোট ছেলেকে সরকারি চাকুরী দিয়ে পরিবারকে বাচাঁন। আমি আর পারছিনা।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, মূলত আনসারুলের পরিবারটি সরকারিভাবে যতেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছে। তার ভাইকে আউটসোসিং এ মদন থানায় পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তার ভাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি একটি চাকুরির ব্যবস্থা করার।

এবিএন/তোফাজ্জল হোসেন/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত