বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • লালপুরে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ

লালপুরে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ

লালপুরে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ

লালপুর (নাটোর), ২৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার শিক্ষকের নিকট চাঁদা চাওয়ার প্রতিবাদে সুপারের শাস্তির দাবিতে মাদ্রাসায় তালা ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়পুর জাফরিয়া আলীম মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম স¤প্রতি সপ্তম শ্রেণীর ফিকাহ্ শ্রেনীতে পাঠদানের এক পর্যায়ে ফরজ গোসল ও যৌন সম্পর্কিত বেফাস মন্তব্য করেন।

এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সুপার আব্দুল করিমের নিকট অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম ও কমিটির সদস্যরা আব্দুর রহিমকে শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক আব্দুর রহিম শিক্ষার্থীদের নিকট বেফাস মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

কিন্তু মাদ্রাসা সুপার আব্দুল করিম পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আব্দুর রহিমের ছেলেকে মোবাইলে জানান, তোমার বাবার বিষয়টি সমাধান করতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে।

এ চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নতুন জটলা।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত বুধবার পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ শনিবার ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সুপার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বসে বিষয়টি সুরাহা হওয়ার কথা ছিলো।অথচ সুপার প্রতিষ্ঠানে না এসে আত্মগোপন করে আছেন।

ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রহিম স্যারের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবার পরেও কেনো সুপার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলেন। আর আজ কেনো মাদ্রাসায় আসলেন না। কাজেই আমরা সুপারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছি ও তালা লাগিয়েছি।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, পাঠদানের সময় ভুলবশত একটু বেফাস কথা বলে ফেলেছিলাম। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। অথচ সুপার আমার ছেলের কাছে কেনো ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাইলেন বুঝতে পারলাম না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাদা চাওয়ার বক্তব্য রেকর্ডিং রয়েছে। উনি অস্বীকার করবেন কিভাবে।

মাদ্রাসা সুপার আব্দুল করিম তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে জানান, শিক্ষক আব্দুর রহিমের পাঠদানের সময় বেফাস মন্তব্যের বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। আমি রসিকতার ছলে টাকার কথা বলেছিলাম, কিন্তু তারা অপপ্রচার করছে।

এ ব্যাপারে ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. কালাম আমাকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আজ শনিবার মাদ্রাসায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছিলেন।

কিন্তু মাদ্রাসা সুপার ফোনে আমাকে নিষেধ করে জানান, বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর, মান-সম্মানের বিষয় জড়িত তাই আপনি না আসলেই ভালো হয়।

পরে শুনলাম সুপার মাদ্রাসায় না আসায় শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে তার শাস্তির দাবিতে মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়েছে।

এবিএন/মোয়াজ্জেম হোসেন/জসিম/নির্মল

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত