![নাসিরনগরে খুনের পর ধ্বংসযঞ্জ: বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/29/nasirnogor-hamla_137413.jpg)
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ২৯ এপ্রিল, এবিনিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পল্লী বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চাপড়তলা ইউনিয়ন। সেই অবহেলিত ইউনিয়নের একটি গ্রাম বেঙ্গাউতা। পল্লীর মেঠো পথ পাড়ি দিযে যেতে হয সেখানে। ওই গ্রামে যেমন নেই রাস্তা ঘাট, তেমনি লাগেনি বিদ্যুতের ছোঁযা। অজ পাড়া গ্রামের অন্যতম গ্রাম বেঙ্গাউতা। ওই গ্রামে র্পুব শক্রতাকে কেন্দ্র করে ঘটে একটি খুনের ঘটনা। খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেঙ্গাউতা গ্রামে চলে ধ্বংসযজ্ঞ, যা আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগকেও হার মানিয়েছে।
খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন আসামীপক্ষের লোকজনের ৪টি বিল্ডিং সহ প্রায় ৫০টি টিনের ঘর ভেঙ্গে ফেলে। খুলে নিয়ে যায় ঘরের চাল। লুট করে নেয় ঘরের ভিতর থাকা, নগদ টাকা, গরু,স্বর্ণাংলকার, ধান চাউল আসবাপত্র সহমূল্যবান সামগ্রী।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য তকদির হোসেনের সহযোগিতায় বিক্রি করে দেয়া হয় তাদের ঘর। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান ৫ কোটি টাকা বলে জানান স্থানীয়রা।
সরজমিন বেঙ্গাউতা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। চারদিকে শোনশান নিরবতা। নেই কোন জন মানব। ভাঙ্গা বিল্ডিং আর টিনের ঘরগুলো যেন অতিতের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। ভগ্ন দশার ধ্বংসস্তুপদেখে হতবাক সাংবাদিকরাও। সাংবাদিকদের দেখে মনে হচ্ছে একটি দাঁড় কাক তার ভাষায় কি যেন বলতে চাচ্ছে। তকদির হোসেন মেম্বারকে বাদী পক্ষের কয়েকজনকে নিয়ে আসামী পক্ষের বাড়ী ঘরের আশে পাশে ঘুরতে দেখা গেছে। এমন ভগ্ন দশার দৃশ্য যেকোন মানুষের হৃদয়কে করবে খন্ড বিখন্ড।
মামলা আর লুটেরাদের ভয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আসামী পক্ষের নারী পুরুষ। বেঙ্গাউতা থেকে চলে আসার পর একজন ফোন করে সাংবাদিকদের বলেন এথনতো মাটি দেখে গেলেন। আবার এসে মাটিও পাবেন না। যেখানে পুকুর তৈরী করা হবে। জানা গেছে জায়গা জমি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে দু’পক্ষের হামলায় আহত নোয়াজ্জিশ মিয়া (৬০)। ৮এপ্রিল ২০১৮ রোজ রবিবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করে এক পক্ষ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বেঙ্গাউতা গ্রামে র্পূব বিরোধের জের ও একটি পুকুরের জায়গা সংক্রান্ত ঘটনাকে নিয়ে বাহার মিয়ার সাথে তার চাচাতো ভাই সোহাগ মিয়ার লোকদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।এই বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে দু‘পক্ষের লোকজনের মাঝে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষ বাঁধে। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়।
এ সময় গুরুতর আহত নোয়াজ্জিশ মিয়াকে প্রথমে মাধবপুর, পরে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতেই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে ৭ ঘটিকার সময় নোয়াজ্জিশ মিয়া মারা যায়। বেঙ্গাউতা গ্রামের ধ্বংস যঞ্জ দেখে নাসিরনগর থানার এস, আই মোঃ ফারুক আহমেদ পাটোয়ারী বলেন আমার ক্ষমতা থাকলে আমি এই খুনের মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট দিতাম।
এবিএন/মোঃ আব্দুল হান্নান/জসিম/নির্ঝর