![উলিপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/29/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbb_137434.jpg)
উলিপুর (কুড়িগ্রাম), ২৯ এপ্রিল, এবিনিউজ: কুড়িগ্রামের উলিপুরে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে, দড়ি কিশোরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গত রোববার থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শ্রেণিকক্ষে অপেক্ষা করার সময় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী সাইদুল ইসলাম (৩০) ওই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থী তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে সহপাঠীদের কাছে চলে যায়।
এরপর পরীক্ষা শেষে বাড়িতে গিয়ে ঘটনা অভিভাবকদের জানালে তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী সাইদুল ইসলাম গা-ঢাকা দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম ফারুক গত বৃহস্পতিবার ঘটনা তদন্তে ওই বিদ্যালয় যান। শিক্ষার্থীর বাবা জানান, স্কুলের পিয়ন সাইদুল ইসলাম আমার মেয়ের শ্লীলতাহানী করেছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে বিচার দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানীর ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমাকে জানানোর পর পিয়নকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে শ্লীলতাহানীর কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর হাত ধরেছিলো বলে স্বীকার করেন। ঘটনার পরদিন থেকে পিয়ন সাইদুল ইসলাম বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী সাইদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীকে শ্লীলতহানীর ঘটনা সত্য নয়। এগুলো আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম ফারুক জানান, প্রধান শিক্ষক ছাত্রী শ্লীলতাহানীর বিষয়ে আমাকে অবগত করলে আমি ওই বিদ্যালয়ে যাই। ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে ঘটনা শুনেছি। দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী সাইদুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর অধিকতর তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল ইসলাম শ্লীলতাহানীর ঘটনায় মামলা হওয়ার করা স্বীকার করে বলেন, আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
এবিএন/আব্দুল মালেক/জসিম/তোহা