![বাউফলে ছুটির দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/30/bauphal-school_137480.jpg)
বাউফল (পটুয়াখালী) , ৩০ এপ্রিল, এবিনিউজ: সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ছুটির দিনে পটুয়াখালীর বাউফলের বিলবিলাস নিছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ও নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রেখে যথারীতি পাঠদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, গত রবিবার (২৯ এপ্রিল) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটির দিন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হান্নান আজিজী মাদ্রাসা ও ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনজুর মোর্শেদ প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান দিচ্ছেন।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী যাওয়ার পর ওই মাদ্রাসা ছুটি দেয়া হয়। ষ্ট্যান্ড থেকে নামিয়ে ফেলা হয় জাতীয় পতাকা। এসময় অফিস কক্ষে গিয়ে দেখা যায় প্রায় সব শিক্ষকরা বসে আছেন যার যার আসনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির বিষয়টি আমরা সবাই জানি। কিন্তু অধ্যক্ষের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে আমরা সবাই মাদ্রাসায় আসতে বাধ্য হই।
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরকে আগে ছুটির কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। আপনারা (সাংবাদিকরা) আসার পরই কেবল জানতে পারলাম আজ ছুটির দিন। এভাবে ছুটির বিষয়টি গোপন করা ঠিক হয়নি। একটি সূত্র জানায়, বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির বিষয়টি পূর্ব থেকেই অবহিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তাই কৌশল করে শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেয়া এবং শিক্ষার্থীদের রোল কল করা হয়নি। এ সময় অত্র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান আজিজীকে পাওয়া যায়নি।
তবে উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হালিম সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে বলেন, ছুটির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তাই আমরা মাদ্রাসা যথারীতি খোলা রেখেছি। এদিকে বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রেখে পাঠদান করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মনজুর মোর্শেদ পাঠদানের বিষয়টি স্বীকার করেন। ছুটির দিন প্রতিষ্ঠান কেন খোলা রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
এ প্রসঙ্গে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদানের কোন সুযোগ নেই। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/ মোঃ দেলোয়ার হোসেন/জসিম/নির্ঝর