সাপাহার (নওগাঁ), ৩০ এপ্রিল, এবিনিউজ: নওগাঁর সাপাহারে জমজম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালক আবু নৈয়ম মো. মাসুমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সমিতির সদস্য ও মাঠকর্মী লিবন বাবু। আজ সোমবার সকাল ১০টায় সাপাহার প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সংবাদ সম্মেলনে প্রতারক মাসুমের শাস্তির দাবী সহ মিথ্যে মামলা থেকে অব্যাহিত পেতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সদস্য রিয়াজ উদ্দীন, গ্রাহক নাসির উদ্দীন মাষ্টার সহ অন্য সদস্যরা।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাপাহার বাজারে জমজম সমিতি নামে একটি ক্ষুদ্র সমিতির সদস্য ও মাঠকর্মীর দায়িত্বে ছিলেন লিবন বাবু। হঠাত ২০১৫ ইং সালের ৪ ফেব্রুয়ারীতে সমিতির পরিচালক মাসুম সমিতির অফিস বন্ধ করে দেন এবং সকল সদস্যদের টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মহাদেবপর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সমিতির পরিচালক সমিতির বিভিন্ন সদস্যদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করে চেকের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
একপর্যায়ে গত ২৩-১২-২০১৫ ইং তারিখে ডেভেলপম্যান্ড ব্যাংক লি: নওগাঁ শাখায় সু-কৌশলে জালিয়াতির মাধ্যমে লিবন বাবুর নামে সিডি২২ নং ও সমিতির সদস্য রিয়াজ উদীনের নামে সিডি২৩ নং একাউন্ট খোলে এবং কৌশলে প্রতারক মাসুম চেক গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে প্রতারক সমিতির পরিচালক মাসুমকে সার্বিক সহযোগীতা করে মহাদেবপুর উপজেলার চকদৌলত গ্রামের আব্দুল মতিন। ওই একাউন্ট গুলিতে কখনো কোন লেনদেন হয়নি। প্রতারক মাসুম নওগাঁ আদালতে সমিতির সদস্য ও মাঠকর্মী লিমন বাবুর নামে ৩০ লক্ষ টাকার চেকের মামলা করে (মামলা নং- ৪৭৮/১৬) এবং পতœীতলা উপজেলার দিবর মধ্যপাড়ার সাইজ উদ্দীনের পুত্র রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার চেকের মামলা করে (মামলা নং- ৩৭৬/১৬)।
সমিতির সদস্য ও মাঠকর্মীরা সাপাহার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী ও ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দীন কে বিষয়টি জানালে তারা একটি সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রতারক মাসুম সাপাহার সদর ও আগ্রাদ্বিগুন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও ১৬৪/১৭ সি আর মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে লিমন বাবু সহ সমিতির অন্য সদস্যদের কাছ থেকে সমিতির পরিচালক প্রতারক মাসুম ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা পরিশোধ করলে মামলা তুলে নিবে বলেও জানান।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ও সমিতির পরিচালক নৈয়ম মো: মাসুম এর শাস্তি দাবী এবং মিথ্যে মামলা থেকে অব্যাহিত পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সমিতির সদস্য ও মাঠকর্মীরা।
এবিএন/নয়ন বাবু/জসিম/তোহা