লালমনিরহাট, ৩০ এপ্রিল, এবিনিউজ : লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পরিবারের সাথে অভিমান করে বিথী রানী রায় (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রী গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের শ্বরপাড়া (ডাকাত পাড়া) গ্রামে তার নিজ ঘরে গরায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে স্কুল ছাত্রী বিথী রানী।
সে ওই এলাকার নিরঞ্জন রায়ের মেয়ে ও চলতি বছর আদিতমারী কেবি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। আজ সোমবার সকালে তাকে স্থানীয় শ্বশানে দাহ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বিথীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তার প্রতিবেশী ঈশ্বর চন্দ্রের ছেলে প্রভাবশালী রতেœশ্বর বর্মন (৫০)। রতেœশ্বর গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবার অন্যত্র বিয়ে দিতে বিথীর জন্য পাত্র খুঁজেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে প্রতিবাদ করে বিথী রানী। এতে তার বাবা-মা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করে এবং রতœশ্বরকে ভুলে যেতে বলেন।
এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাতে পরিবারের সাথে অভিমান করে গলায় রশি পেঁচিয়ে আতœহত্যা করে বিথী রানী। আজ সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে তড়িঘড়ি করে দাহ করার প্রস্তুতি নেয়। এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি আদিতমারী থানাকে মোবাইল ফোনে অবগত করে।
স্থানীয়দের খবরে আদিতমারী থানা ওসি হরেশ্বর রায় ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বিথী রানীর মরদেহ দাহ করে। মারপিট ও আত্মহত্যার আলামত নষ্ট করে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বিথীর পরিবার ১১ গোত্রীয় হওয়ায় তাদের কেউ মারা গেলে মাটিতে পুতে (দাফন) রাখা হয়। কিন্তু পুলিশী ঝামেলা এড়াতে তড়িঘড়ি করে মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে বিথীকে দাহ করা হয়েছে। প্রেমের বিষয়ে রাতে বিথীকে মারপিট করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আদিতমারী থানা ওসি হরেশ্বর রায় জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বিথীকে দাহ করা হয়েছে। মামলা নয়, থানায় এ ব্যাপারে একটি জিডি করা হয়েছে।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/এমসি