বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ফুটসালে বাংলাদেশের নারীরা, কিভাবে খেলে ফুটসাল

ফুটসালে বাংলাদেশের নারীরা, কিভাবে খেলে ফুটসাল

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, এবিনিউজ : ফুটসাল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল । আগামী ২রা থেকে ১২ই মে বাংককে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী ফুটসালে অংশ নেবে মোট ১৫টি দেশ।

এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ফুটসালে অভিষেক হবে বাংলাদেশ নারী দলের।

চার গ্রুপে ভাগ হয়ে লিগভিত্তিতে খেলবে দলগুলো। ১৫টি দেশ হওয়ায় তিনটি গ্রুপে চারটি করে দেশ আর অন্য একটি গ্রুপে তিনটি। গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল।

বাংলাদেশ পড়েছে 'বি' গ্রুপে। এই গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপে।

'এ' গ্রুপে হংকং, ইন্দোনেশিয়া ও ম্যাকাওসহ স্বাগতিক থাইল্যান্ড, গ্রুপ 'সি'তে জাপান, চীন, বাহরাইন ও লেবানন এবং 'ডি' গ্রুপে আছে ইরান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান।

বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২রা মে, মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বিবিসি বাংলাকে জানান, এই খেলা সারা বিশ্বে অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। বাংলাদেশের এই খেলায় যোগ দেয়াটা সময়ের দাবি কারণ এখানে বিশ্বায়ন ও পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার একটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

কিভাবে খেলা হয় ফুটসাল?

'ফুটসাল' ফুটবলের একটা ঘরোয়া মাধ্যম। ইদানিং এই খেলাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমনকি ফুটসাল বিশ্বকাপও আয়োজিত হয়ে আসছে।

ফুটবলের এই ফরম্যাটে প্রতি দলে পাঁচজন করে খেলোয়াড় থাকেন। থাকেন একজন গোলরক্ষক। সর্বোচ্চ ১২জন পর্যন্ত খেলোয়াড় ব্যবহার করা যায় এই খেলায়। যত খুশি তত বদলি করা যায় খেলোয়াড়।

ফুটসালের সাথে ফুটবলের আরেকটা বড় পার্থক্য হচ্ছে- মাঠের আকার। ফুটবল মাঠের চেয়ে স্বভাবতই দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে অনেক ছোট হয় ফুটসালের মাঠ।

সাধারণত ২৭ গজ দৈর্ঘ্য ও ১৭ গজ প্রস্থ থেকে শুরু হয়ে ৪২ গজ দৈর্ঘ্য ও ২৭ গজ প্রস্থ পর্যন্ত হতে পারে ফুটসাল মাঠ। তবে মাঠ তৈরি হয় শক্ত কিছু দিয়ে।

ফুটসালে চার সাইজের বল ব্যবহৃত হয় যার ওজন ৪০০ থেকে ৪৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। মোট ৪০ মিনিট খেলা হয়। ২০ মিনিট পর বিরতি। পেনাল্টি কিক করা হয় পোস্টের ৬ মিটার দূর থেকে।

একটি দল যদি এক অর্ধে ছটি বা তার বেশি ফাউল করে তবে প্রতিপক্ষ একটি পেনাল্টি পাবে। বল দখলে নেয়ার পর গোলরক্ষক চার সেকেন্ড সময় পাবে বল ছাড়ার জন্য। নতুবা প্রতিপক্ষ একটি ফ্রি-কিক পাবে।

ফুটবল খেলায় থ্রো-ইন থাকে, এর পরিবর্তে ফুটসালে আছে কিক-ইন।

ফুটসাল যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, কিন্তু এর প্রচলন বহু পুরোনো। প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ অর্থাৎ ১৯৩০ সাল থেকেই এটি খেলা হয়ে আসছে।

সাবেক অনেক ফুটবলারই মনে করেন ফুটসাল তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।

ব্রাজিলে ফুটসাল খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। তিনবার বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী পেলে বলেন, "বল নিয়ন্ত্রণ করা, দ্রুত চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দ্রুত পাস দেয়ার ক্ষেত্রে ফুটসাল অনেক উপকারী। এছাড়া বলের ভারসাম্য রক্ষা, ড্রিবলিং ও মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষেত্রে এটা বেশ উপকারী।"

ফুটবল বুঝতে ও শিশুদেরকে খেলাটির সূক্ষ্ম দক্ষতা বুঝাতে ফুটসাল গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনালদিনিয়ো।

ফুটসালেও বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপের মতো, ফিফা ফুটসাল বিশ্বকাপও আয়োজন করে থাকে।

এই আসর শুরু হয় ১৯৮৯ সাল থেকে। মোট আটটি ফুটসাল বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে এপর্যন্ত।

এখানেও সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। ফুটসাল বিশ্বকাপ শেষবার আয়োজিত হয় ২০১৬ সালে।

ফুটসালের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সূত্র: বিবিসি বাংলা

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত