বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • মার্চ ও এপ্রিলে বজ্রপাতে ৭০ জনের মৃত্যু : ত্রাণমন্ত্রী

মার্চ ও এপ্রিলে বজ্রপাতে ৭০ জনের মৃত্যু : ত্রাণমন্ত্রী

মার্চ ও এপ্রিলে বজ্রপাতে ৭০ জনের মৃত্যু : ত্রাণমন্ত্রী

ঢাকা, ০১ মে, এবিনিউজ : চলতি বছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাসে বজ্রপাতে সারাদেশে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল দুই দিনে ২৯ জন লোক বজ্রপাতে মারা গেছেন। গত মার্চ মাসে ১২ জন এবং এপ্রিল মাসে ৫৮ জনসহ মোট ৭০ জন লোক বজ্রপাতে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বর্ষা মৌসুম সামনে। এ সময়ে ঝড়-তুফান হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে সকলকে পরিস্থিতি দেখে শুনে ঘর থেকে বের হতে হবে।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড ও ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এ কারণে দেশের ৮টি জেলায় বজ্রপাত রেকর্ডকরন মেশিন বসানো হয়েছে। জেলা ও স্থান হলো, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া, সাতক্ষীরার কয়রা, পটিুয়াখালি, নওগাঁর বদলগাছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, দুই লাখ রোহিঙ্গা পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে আছে। এ কারণে তাদের কুতুপালং ও বালুখালীর মাঝখানে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এ ২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্য পরিবারের সংখ্যা ৫০ হাজার। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অতি বৃষ্টির ফলে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ হাওর অঞ্চলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই এসব জেলার কৃষকদের ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ৮৮ শতাংস ধান কাটা হয়ে গেছে। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও দেশের ৩৭টি জেলায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। অতি বৃষ্টি ও ভারি বৃষ্টির ফলে এ সমস্ত জেলার জেলা প্রশাসকদের সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রতি জেলার ডিসিকে ২০০ টন চাল ও ৫ লাখ নগদ টাকাসহ দুইশ’ বান্ডিল ঢেউ টিন আপদকালীন মুজত হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এ সব জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ভবনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যা হলে এবং পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্যা দুর্গতরা যাতে সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। যে কোনও ধরনের দুর্যোগের জন্য আমারা আগাম প্রস্তুমি নিয়ে রেখেছি। এবার যাতে একজন মানুষও মারা না যায়, এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।

সচিবালয়ের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সচিব জাফর আহমেদ, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সচিব শাহ কামাল, কৃষি সচিব মঈন আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভগের সচিব ফয়েজ আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণায়ের সচিব রইসুল আলম মণ্ডল, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভগের সচিব মো. আলগীর হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী হোসেন, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদফতরের মহা-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত