![মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সরকার সব সময় সচেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/01/pm_abnews_137694.jpg)
ঢাকা, ০১ মে, এবিনিউজ : বন্ধ থাকা শিল্প-কলকারখানা পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠান যেন উৎপাদনমুখী হয়, কর্মপরিবেশ বজায় থাকে এ চেষ্টা সরকারের সবসময় থাকে। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে অবহেলিত, বঞ্চিতদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি, যা আমার বাবা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতদিন ক্ষমতায় আছি, বিদেশিদের নালিশ করে লাভ নেই। তেলা মাথায় তেল নয়, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকার মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সরকার সব সময় সচেষ্ট। কিন্তু রমজান মাসে শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়েছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যত ভালো হবে, ততোই সবার উন্নতি হবে। এদেশের মানুষ মাথা নিচু করে চলবে না। কেউ ঘর হারা থাকবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পালন করা হচ্ছে মে দিবস। এবারে মে দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই, সোনার বাংলা গড়তে চাই।’
মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাদের প্রতি আপনাদের আন্তরিক হতে হবে। ‘শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই, সকলে মিলে সোনার বাংলা গড়তে চাই’ এই স্লোগান কতটুকু উপযোগী সেটা আমাদের অনুধাবন করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ স্বাধীন দেশে। দেশের সকল মানুষ সমান অধিকার পাবে এটিই আমাদের লক্ষ্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই লক্ষ্য অর্জনে সারাজীবন কাজ করেছেন। মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন। সুতরাং মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা ছিল তার লক্ষ্য।’
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সকল শিল্পকারখানা জাতীয়করণ করেছিলেন। তিনি শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন করেছিলেন। ১ মে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আজ আমাদের মাঝে নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হয়েছে। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা চাকচিক্যের জীবন অনুসরণ করেছে। ফলে শোষিত মানুষ আরও শোষিত থেকেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করেছি। তাদের সন্তানদের জন্য শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। আমরা জাতীয় শ্রমনীতি ২০১২ প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমখাতে কয়েকটি অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে গেছে। যার কারণে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছি, শ্রমিকদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কোনো সমস্যা হলে আমি তো আছি। আমি নিজের ভাগ্য করার জন্য আসিনি। এসেছি আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য।’
এবিএন/মমিন/জসিম