
ঢাকা, ০২ মে, এবিনিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো কোটাই থাকবে না। যখন আন্দোলন হয়েছিল তখন সবাই আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলেন। কেউ তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি। আমরা নানাভাবে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবাই যাতে কোটা বাতিলের পক্ষে, তাই তা বাতিল করে দিয়েছে। এখন আমাদের হাতে আর কিছু নেই। কেউ এসে কান্নাকাটি করলে আমাদের কিছুই করার নেই। কেউ যদি চাকরি না পায় আমাদের কিছু করার নেই। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গণভবনে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এতদিনে আপনাদের বোধোদয় হলো কীভাবে। আন্দোলনে কারা মিশে যাচ্ছে, তখন সে প্রশ্ন তোলেননি। তখন তো আন্দোলনের পক্ষে কান্না করছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর কোটার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সবার অধিকার নিশ্চিত করার জন্যেই এই কোটা ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কথা নাই বার্তা নাই আন্দোলন শুরু হয়ে গেল। দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলো।
প্রথমে ওদের বোঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু শোনেনি। রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করে ফেললো। আশপাশে হাসপাতাল আছে, রোগীদের সমস্যা, তারা পথ ছাড়েনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পাবলিকে যারা পড়ে তাদের বিনে পয়সায় পড়ে। সরকারিভাবে তাদের ভুর্তুকি দেয়া হয়। আমি উদ্যোগ নিয়ে সরকারি নতুন বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠা করেছি। সাবজেক্ট এনে দিয়েছি। যাতে বিনে পয়সা সবাই পড়তে পারে। সবকিছু ভেবেই করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কিন্তু সেই শিক্ষার্থীরাই দেখলাম আন্দোলন শুরু করেছি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, প্রথম লিখিত পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়ে পাস করছে, তারা সবাই মেধাবী। এরপরে কোটার প্রশ্ন আসে। মেধা কোটাতেই কিন্তু সব কিছু করা হচ্ছিল। কোথাও কোটা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকাতেই পূরণ হয়েছে। আগে থেকেই এটা নিয়ম ছিল। সেটা ৭২-৭৭ শতাংশ হারেই হয়েছে।
কমনওয়েলথ সম্মেলনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রেজুলেশন হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই সফরকে আমার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি।
এবিএন/মমিন/জসিম