বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • নির্বাচনে কে আসবে আর কে আসবে না তার দায়িত্ব সরকারের না: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে কে আসবে আর কে আসবে না তার দায়িত্ব সরকারের না: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে কে আসবে আর কে আসবে না তার দায়িত্ব সরকারের না: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ০২ মে, এবিনিউজ: আগামীতে কোন দল সরকার গঠন করবে তা জনগণ ঠিক করবে। এছাড়া কোন দল নির্বাচনে আসবে আর কোন দল আসবে না তার দায়িত্ব সরকারের নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকেলে সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়ে জানাতে গণভবনে করা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯ বছরে যে উন্নয়ন করেছি অন্যকোন সরকার এত উন্নয়ন করেনি। জিয়াউর রহমান , এরশাদ ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলেও দেশের কোন উন্নয়ন করেনি। তাই আগামীতে কোন দল সরকার গঠন করবে তা জনগণ ঠিক করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের কনফারেন্স যেভাবে হয়, হবে। আমাদের একটা নিয়ম আছে। ইতোমধ্যে কে কে প্রার্থী, তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব এসেছে এবং ফরম ছাড়া হয়ে গেছে। সবাইকে নিয়ে বসা হয়। সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সমঝোতা না হলে ভোট হয়। সমঝোতা করে হবে বা আলোচনা করে হবে- এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আর যদি সমঝোতায় না হয়, তাহলে ভোট হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের আবার কিছু ভালো দিক আছে, মন্দ দিকও আছে। এটাও দেখতে হবে। আমরা চাই উপযুক্ত নেতৃত্ব ও ছাত্র। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া আছে। বয়সসীমার মধ্যে যারা সত্যিকারের ছাত্র, যারা মেধাবী, তারা যেন নেতৃত্বে আসে,সেটাই আমরা চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করব।’ আওয়ামী লীগই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট নেওয়া শুরু করেছিল বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

কোটা পদ্ধতি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কোটাই থাকবে না। যখন আন্দোলন হয়েছিল তখন সবাই আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলেন। কেউ তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি। আমরা নানাভাবে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবাই যাতে কোটা বাতিলের পক্ষে, তাই তা বাতিল করে দিয়েছে। এখন আমাদের হাতে আর কিছু নেই। কেউ এসে কান্নাকাটি করলে আমাদের কিছুই করার নেই। কেউ যদি চাকরি না পায় আমাদের কিছু করার নেই। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গণভবনে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান তিনি।

সম্প্রতি কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা ঢাকায় ট্রাফিক আইন না মেনে পথচারীদের পারাপারের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “আমার এই কথাগুলো অনেকে পছন্দ করবেন না, কিন্তু যা বাস্তব , তাই বলছি।

“রাস্তায় চলার নিয়ম আছে, সেটা আমরা কতটা মানি? একটা গাড়ি দ্রুতগতিতে আসছে, আমরা হাত একটা তুলে রাস্তায় নেমে গেলামৃ. যারা পথচারী, তাদেরও কিছু রুলস জানা দরকার, মানা দরকার।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আপনি বাসে চড়ে যাচ্ছেন, কেন আপনি হাত বাইর করে যাবেন? “আপনারা (সাংবাদিক) যার হাত গেল, তার জন্য কান্নাকাটি করছেন; কিন্তু সে যে নিয়ম মানছে না, সে কথা তো বলছেন না।”নির্বাচনে কে আসবে আর কে আসবে না তার দায়িত্ব সরকারের না: প্রধানমন্ত্রী

হেলমেট ছাড়া মোটর সাইকেলে এবং সিটবেল্ট না বেঁধে গাড়িতে চড়াও দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক পারাপারে পথচারীদের আইন মানার ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরিতে বেসরকারি গণমাধ্যমগুলোকেও প্রচারের চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

“যারা পথে পারাপার হয়, তারাও নিয়ম মানে কি না, সেদিকে আপনারা একটু দেখেন।”

বিশ্ব দরবারে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন ছাত্রীরা পিছিয়ে না থাকে সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়নের পরও নারীদের সসমান অধিকার দিয়ে গেছেন ববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সরকার নারীদের শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ নারীদের শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত না করলে দেশ এগিয়ে যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত