
আদমদীঘি (বগুড়া), ০২ মে, এবিনিউজ: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রাম সরদার পাড়ায় স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিল্পব নামের এক ট্রাক চালক গতকাল মঙ্গলবার শবে বরাতের রাতে গলায় ওরনার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ আজ বুধবার নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছেন। এবং স্ত্রী সাইমা বেগমকে গ্রেফতার করেন। এঘটনায় নিহতের ভাই বাধন বাদী হয়ে ভাবী সাইমা বেগম (২৮) এর বিরুদ্ধে থানায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন।
জানাযায়, আদমদীঘির শালগ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এখলাছ উদ্দিন বিপ্লবের (৩২) এর সাথে একই উপজেলার সান্তাহার পৌঁওতা গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে সাইমা বেগমের বিয়ে হয় প্রায় ৮/৯ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারীক কলহ শুরু হয়। প্রায় প্রতিদিন তাদের মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থকতো। গত মঙ্গলবার সন্ধায় বিল্পব বাড়ীতে ফিরলে পুনরায় টাকার হিসাব চাই বিল্পব টকার হিসাব না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন যে গলায় দড়ি দিয়ে মরতে পারিস না বলে রাতের খাবার না দিয়ে স্বামীকে মারপিট করে সাইমা।
এঘটনার কিছুক্ষন পড়ে তার ছোট ভাই বাধন খাবারের জন্য বড় ভাই বিল্পবকে ডাকতে গেলে তার ভাবী সাইমা তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘড় থেকে বের করে দেয়। এর কিছুক্ষন পর স্ত্রী সাইমা বেগম তার স্বামী বিপ্লবকে ঘরে আটক রেখে বাহির থেকে ঘরের দরজায় সিকল তুলে দিয়ে বারিন্দায় শুয়ে থাকে। রাত দুইটার সময় সাইমা ঘরের দরজা খুলে দেখতে পায় তার স্বামী বিল্পব শযন ঘরে ফ্যানের সাথে ওরনা লাগিয়ে গরায় ফাঁস লাগিয়ে অত্মহত্যা করেছেন।
এসময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেয় অবস্থা অবনতি দেখে স্থানান্তর করলে তাকে নওগাঁ হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ওসি তদন্ত অফিসার কিরন রায় মামলা দায়ের ও সাইমাকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে সে অত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।
এবিএন/আনোয়ার হোসাইন/জসিম/তোহা