![‘তারেক রহমানকে ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে’](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/03/mahmud_137855.jpg)
ঢাকা, ০৩ মে, এবিনিউজ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, তারেক রহমানকে ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারকে।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওআইসির ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি চিঠি দিয়েছি, ভবিষ্যতেও দেব। ইতোমধ্যে তারা (ব্রিটিশ হোম অফিস) আমাদের চিঠির জবাবও দিয়েছে।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডন যাওয়ার পর আর ফেরেননি তারেক। সেখানে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের আদালতে মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির দুটি মামলায় তার ৭ ও ১০ বছরের সাজার রায় হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে কয়েক ডজন মামলায় তারেক রহমানের নামে গ্রেফতারি পরোয়া রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলার তারেকের বিচার চলছে তাকে পলাতক দেখিয়েই।
গত মাসে লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘যেভাবেই হোক’ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আদালতের মুখোমুখি করার ঘোষণা দেন।
বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশের মাটিতে। আবার বিদেশের মাটিতে বসে প্রতিদিন সে আন্দোলন করে। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তার সম্পর্কে আলোচনা করছি।’
যে পাসপোর্ট নিয়ে তারেক লন্ডন গিয়েছিলেন, তার মেয়াদ ২০১৩ সালে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গত ২৩ এপ্রিল বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তার পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে ‘সারেন্ডার’ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারেক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলেই তিনি মনে করেন।
এবিএন/সাদিক/জসিম