![হাতে চিঠি লেখার অভ্যাস কি আর ফেরানো যাবে?](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/03/letter-2_137912.jpg)
ঢাকা, ০৩ মে, এবিনিউজ : শেষ কবে আপনি প্রিয়জনকে নিজের হাতে চিঠি লিখেছেন?
ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ নয়, পোস্টকার্ড বা কাগজ নিয়ে রীতিমতো কলম দিয়ে লেখার কথা বলছি!
আর চিঠি লিখে, আঠা দিয়ে খামের মুখটা বন্ধ করে আর স্ট্যাম্প সেঁটে, তারপর হেঁটে গিয়ে ডাকবাক্সে শেষ কবে চিঠি ফেলেছেন তা হয়তো অনেকের আর মনেই নেই!
আসলে এই ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে চিঠি লেখার পাট উঠতে বসেছে সেই কবেই।
আর সে কারণেই অন্য অনেক দেশের মতো ভারতেও ডাক বিভাগের ব্যবসাপাতি গোটানোর উপক্রম হয়েছে।
কিন্তু ভারতীয়দের চিঠি লেখারে অভ্যাস ফেরানোর মরিয়া চেষ্টায় দেশের ডাক বিভাগ বা 'ইন্ডিয়া পোস্ট' এখন দেশ জুড়ে 'সর্বভারতীয় চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা'র আয়োজন করছে।
গত বছরের জুন থেকেই শুরু হয়েছে 'ঢাই আখর' নামে এই চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা, যাতে একটি নির্দিষ্ট থিমের ওপর দেশ জুড়ে সবাইকে চিঠি লেখার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আঠারো বছরের কম ও বেশি বয়সী - দুরকম ক্যাটেগরিতেই সেরা চিঠি-লিখিয়েদের জন্য থাকছে নানা ধরনের আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা।
এই চিঠিগুলো এক বিশেষ ধরনের ডাকবাক্সে ফেলতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে ইতিমধ্যেই অনেক বিজয়ী হাজার হাজার টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন, তাদের চিঠিগুলো ভারতের জাতির জনক বলে পরিচিত মোহনদাস গান্ধীর জন্মদিনে এক বিশেষ প্রদর্শনীতে দেখানোও হয়েছে।
গত বছর চিঠি লেখার থিম ছিল 'ডিয়ার বাপু' (অর্থাৎ 'প্রিয় মহাত্মা গান্ধী') - এবারেও অনুরূপ একটি থিম বেছে নিয়ে সারা দেশ জুড়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে - যদিও থিমটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
'ইন্ডিয়া পোস্টে'র কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রতিযোগিতায় তারা দারুণ সাড়া পাচ্ছেন - দেশে অনেক লোক আবার ধীরে ধীরে চিঠি লেখার অভ্যাসে ফিরে যাচ্ছেন।
চিঠির জন্য ডাকটিকিটের বিক্রিও না কি বাড়ছে।
তবে প্রতিযোগিতার বাইরেও মানুষ রোজকার প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে আবার চিঠি লিখতে শুরু করছেন, এখনও তেমন কোনও স্পষ্ট প্রমাণ কিন্তু মেলেনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি