![বিএনপির অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে: সিইসি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/03/cse_137929.jpg)
ঢাকা, ০৩ মে, এবিনিউজ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করার আগে তাদেরকে আরো অবজার্ভ করা হবে। এরপর বিএনপির অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এই কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে হবে। তাদের মতামত নিতে হবে। কমিশনারা যদি সিদ্ধান্তে একমত না হয় তাহলে আমরা প্রত্যাহার নাও করতে পারি। আর প্রত্যাহার করা যদি এত অল্প সময়ের ভেতরে যুক্তিসঙ্গত হয় তাহলে আমরা করতেও পারি।
খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে পুলিশ বিভিন্নভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে-এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নুরুল হুদা বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।
খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের হোটেল পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে- এটা নির্বাচনী আচরণ বহির্ভূত কিনা এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ওই হোটেলে কিছু বিদেশি লোকজন আছে। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে পুলিশের অবস্থান। কিন্তু ঘটনাক্রমে ওই হোটেলেই বিএনপির নেতারা অবস্থান করছেন।
সিইসি আরো বলেন, বিএনপি অভিযোগ করেছে, একজন মেয়র প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একটি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। কিন্তু কোথাও কোথাও একের অধিক ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। একাধিক ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা সেখানে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে করে একের অধিক ক্যাম্প কেউ স্থাপন না করতে পারে।
এর আগে আজ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৈঠক শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপির নেতারা বেরিয়ে আসেন। বৈঠকে বিএনপির নেতারা খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান।
এবিএন/মমিন/জসিম