![মালিকের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা কুকুরের!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/04/dog-wait-for-owner0_137984.jpg)
ঢাকা, ০৪ মে, এবিনিউজ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত তারকা বনে গেছে কুকুরটি। কিন্তু এই কুকুরটি এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠলো কিভাবে?
জনপ্রিয় পিয়ার ভিডিও ওয়েবসাইটে কুকুরটির এক ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় এক কোটি বার, যেটি পোস্ট করা হয়েছিলো গত এপ্রিলে।
কিছুটা এই কুকুরটির বৈশিষ্ট্য হলো সে তার মালিকের বাড়ি ফেরার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে অপেক্ষা করে এবং এটিই তার প্রতিদিনের রুটিন।
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহর চোংগিং এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ভিডিওতে দেখা যায় জিয়ংজিয়ং নামের কুকুরটি কোন কিছু দিয়ে বাঁধা নেই।
সে প্রতিদিন একটি সাবওয়ের মাথায় মাটিতে বসে থাকে এবং কমপক্ষে বারো ঘণ্টা ধরে তার মালিকের বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করে।
কুকুরটির মালিক তার নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি।
তবে বলেছেন যে গত আট বছর ধরে কুকুরটি তার সঙ্গে রয়েছে।
" সে সবসময়ই এমন", এমন মন্তব্য করে তিনি জানান যে কুকুরটি সবসময়ই তার জন্য এভাবে অপেক্ষা করে।
স্থানীয়রা অনেকেই বলেছেন কুকুরটি কারও জন্য কোন ধরনের হুমকিস্বরুপ আচরণ করেনা।
"আপনি নিজ থেকে না দিলে সে কিছু খায়না। প্রতিদিন সাতটা বা আটটার দিকে তাকে দেখা যায় যখন তার মালিক কাজে যায়। এবং এরপর সে অপেক্ষা করে, একেবারেই খুশি মনে তাকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়"।
পিয়ার ভিডিওর তথ্য অনুযায়ী কুকুরটিকে এতো নিয়মিত দেখা যায় যে অনেকেই তার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আবার অনেকে এখন শুধু কুকুরটিকে দেখতেও ভিড় করছেন সেখানে।
হাজার হাজার বার ভিডিও যেমন শেয়ার হচ্ছে তেমনি মন্তব্যও আসছে অসংখ্য।
অনেকেই কুকুরটির আনুগত হওয়ার ধরণে বেজায় খুশি।
"খুবই হৃদয় স্পর্শকারী বিষয়। তার কাছ থেকে আমরা নৈতিকতা শিখতে পারি," বলছিলেন একজন।
আবার অনেকে বিতর্ক তুলে বলছেন মালিকের উচিত কুকুরটির আরও যত্ন নেয়া।
কেউ কেউ আবার উদ্বিগ্ন যে এতো নাম করে ফেলার কারণে কুকুরটি খারাপ মানুষদের হাতে ক্ষতির শিকার হতে পারে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে জিয়ংজিয়ং আধুনিক সময়ে 'হাচিকো'।
হাচিকো হলো ১৯২০ এর দশকে বিখ্যাত হওয়া একটি কুকুর যে তার মালিককে দেখার জন্য রেলস্টেশনে আসতো। প্রায় নয় বছর ধরে মালিকের মৃত্যু পর্যন্ত এটি সে নিয়মিত করে গেছে।
১৯ শতকে যুক্তরাজ্যেও এ ধরনের একটি ঘটনা বিখ্যাত হয়ে আছে। এডিনবার্গে তার স্মরণে একটি মূর্তিও বানানো আছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি