
ঢাকা, ০৪ মে, এবিনিউজ : যৌন নিপীড়নের কেলেঙ্কারিতে এবারের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত ঘোষণা করেছে দ্য সুইডিশ একাডেমি।
আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটা জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কারটি ‘রিজার্ভড প্রাইজ’ হিসেবে ২০১৯ সালের পুরস্কারের সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।
১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার চালুর পর এই প্রথম যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটল। তবে সাহিত্যে পুরস্কার ঘোষণা এর আগেও একবার স্থগিত ছিল।
জনগণের যাতে আস্থাহীনতা না ঘটে সে কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ একাডেমি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, একাডেমির কিছু সদস্য ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে চলতি বছর পুরস্কার ঘোষণার কথা বলেন। কিন্তু অন্যরা বলেন, পুরস্কার ঘোষণার মতো অবস্থা কমিটির নেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে ফরাসি ফটোগ্রাফার জীন-ক্লদ আরনল্টের বিরুদ্ধে ১৮ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। আরনল্ট নিজেও সুইডিশ একাডেমির একটি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আরনল্ট এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওই ঘটনার পর আরনল্টের স্ত্রী ফ্রস্টেনসনকে সরাতে একাডেমির পক্ষ থেকে গণভোটের আয়োজন করা হয়। এই ঘটনা ছাড়াও স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও নোবেল বিজয়ীর নাম ফাঁস করা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কমিটিতে বিভক্তি দেখা দেয়।
এর ফলশ্রুতিতে ফ্রস্টেনসন ও একাডেমির প্রধান প্রফেসর সারা দানিয়াস এবং আরো কয়েকজন পদত্যাগ করেন।
এর ফলে বর্তমানে কমিটিতে মাত্র ১১ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে আবার কার্স্টিন এখমান নামের এক সদস্য ১৯৮৯ সাল থেকে অকার্যকর রয়েছেন। সালমান রুশদির দ্য স্যাটানিক ভার্সেস নিয়ে দেওয়া ফতোয়ার বিষয়ে একডেমির পক্ষ থেকে নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকে তিনি অকার্যকর রয়েছেন।
নিয়মানুয়ায়ী নতুন কোনো সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে ১২টি ভোটের দরকার হয়।
প্রসঙ্গত, সুইডিশ একাডেমির সদস্য নির্বাচিত হয় আজীবনের জন্য। চাইলেও কেউ পদত্যাগ করতে পারেন না। তবে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে পারেন।
অবশ্য একাডেমির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজা ষষ্ঠ গুস্তাফ বলেছেন, পদত্যাগের অনুমতি দিয়ে নতুন নিয়ম করবেন তিনি।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি