![নন্দীগ্রামে পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/04/paddy_abnews_137997.jpg)
নন্দীগ্রাম (বগুড়া), ০৪ মে, এবিনিউজ : বগুড়ার নন্দীগ্রামে গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারনে ইরি বোরো চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কাল বৈশাখী ঝড়-শিলাবৃষ্টি ও টানা ভারী বর্ষণে উপজেলার পাকা ধান এখন পানিতে ভাসছে।
অন্যদিকে ধানের বাজারেও নেমেছে ধস। মৌসুমের শুরুতে প্রতিমণ ধান ৮৫০-৯৫০ টাকা বিক্রয় হলেও এখন তা ৫৫০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। আর সাথে থাকছে শ্রমিক সংকট। মৌসুমের শুরুতে প্রতি বিঘা জমির ধান ১৮০০-২০০০ টাকা কাটা শুরু হলেও এখন ধান কাটার বাজার ৩৫০০-৪৫০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পৌরসভা ও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ২০ হাজার ৪৪৪ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬১৯ মেট্রিকটন ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভবনা ছিল। কিন্তু এখন আর ধানের আশানুরূপ ফলন হবে না।
উপজেলার দলগাছার গ্রামের কৃষক মুনির হোসেন বলেন, এই বৈরি আবহাওয়ার কারনে ধান কাটার জন্য শ্রমিক মিলাতে পারচ্ছি না। আমি ৪৬ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। যার প্রতি বিঘাতে খরচ ৮০০০-৮৫০০ টাকা। এখন ধানের যে বাজার ও শ্রমিকের যে দাম তাতে আমার বড় ধরনের লোকশান গুনতে হবে।
দোহার গ্রামের কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র প্রাং জানান, গত কয়েক দিনের ঝড়-শিলাবৃষ্টি ও টানা বর্ষণে ধান এখন জলে নুয়ে গেছে। ধান কাটার জন্য বেশি দাম দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা.মশিদুল হক বলেন, ঝড়-শিলাবৃষ্টি ও টানা বর্ষণে উপজেলা বেশির ভাগ পাকা ধান ক্ষেত পানিতে নুয়ে গেছে। তাই পাকা ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এবিএন/অদ্বৈত কুমার আকাশ/জসিম/এমসি