![ফুলবাড়ীয়ার বড়বিলা বিলে জলাবদ্ধতায় বোরো ফসলের ক্ষতি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/06/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbb_138219.jpg)
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ), ০৬ মে, এবিনিউজ: দেশের বৃহত্তম বদ্ধজলাভূমি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের বড়বিলা বিল। বিলের চর্তুপাশে বোরো মৌসুমে কৃষকরা বোরো ফসল আবাদ করে থাকে। এবার আবাদ করা শত শত একর বোরো ফসল সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানির তলে তলিয়ে গেছে। কৃষক কোমর ও বুক পানি থেকে বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক জমির বোরো ফসল।
সরেজমিন বড়বিলা বিল পরিদর্শন করে দেখা গেছে কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত পানিতে তলিয়ে যাওয়া বোরো ধান কাটছে। অনেকের ধান পানির নিচে থাকায় এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে জোঁকের পরিমান বেশি থাকায় ধান কাটার শ্রমিকের পারিশ্রমিকও বেশি দিতে হচ্ছে। ৮শ কেউ ১ হাজার টাকা প্রতিকাঠা ধান কাটতে হচ্ছে। অনেক কৃষক শুধু ধানের শীষ টুকু কেটে বিল পাড়ে ছড়িয়ে দিয়ে ধান মাড়াই করে ভ্যান গাড়ী দিয়ে বাড়ী নিয়ে যাচ্ছে। বোরো আবাদ করা কৃষক আ. রশিদ জানান, তিনি এ বিলে ১২ কাঠা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন।
জলাবদ্ধতায় ৬ কাঠা জমির ফসল পানির নিচে তরিয়ে গেছে। ধান কাটা শ্রমিক না পেয়ে নিজেই কোমর পানিতে তলিয়ে যাওয়া বোরো ধানের শীষ কাটছেন। এরই মধ্যে তার ধান গজিয়ে গেছে। পঁচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।আরেক কৃষক আব্দুর রাজ্জাক দুলাল জানান, তার ৫ কাঠা বোরোর ফসল পানির তলে। প্রতি বছর জলাবদ্ধতা দেখা দিলেও এবার জলাবদ্ধতা অনেক আগেই দেখা দিয়েছে। বড়বিলা বিল থেকে পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ বড়খাল ভরাট করে অনেকেই ফসলী জমি তৈরি করেছে। বর্ষার সাথে বড়খালে দেয়া মাছ ধরার বানা দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে ।
বড়খালটি সংস্কার করা হলে অন্তত জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে এ এলাকার কৃষক। স্থানীয় রাঙামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী জানান, আমি খবর পেয়ে বড়খালের সব বানা কেটে দিয়েছি। খালটি সংস্কার করা জরুরী। শত শত মানুষের বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার লীরা তরফদা ও কৃষি অফিসার ড. নাসরিন আখতার বানু কর্মস্থলে না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বড় বিলায় আড়াইশ একর জমিতে বোরো ফসল আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই তাদের ফসল কেটে ঘরে তুলেছে। ক্ষতির বিষয়টি তাদের জানা নাই বলে জানান।
এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/তোহা