![আজ খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার রায়](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/03/08/khadija.abnews24_65906.jpg)
সিলেট, ০৮ মার্চ, এবিনিউজ : সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সহিংসতার বিচার পাচ্ছেন খাদিজা। গত রবিবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। যুক্তিতর্কের সময় মামলার একমাত্র আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। ওই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এ সময় আদালতের বিচারক ঘোষণা করেন, পুরো রায় বাংলায় লেখা হবে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে খাদিজাকে। বর্বর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয় খাদিজাকে। প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের গ্রামের বাড়ি ফেরেন খাদিজা।
অপরদিকে খাদিজার ওপর বর্বর হামলাকারী ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হামলার ঘটনার পর ছাত্রলীগ বদরুলকে বহিষ্কার করে, বর্তমানে সে কারাবন্দি। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজা আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন। আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকালে খাদিজা বলেন, বদরুল আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে, আমি বিচার চাই। এর আগে ২৯ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এর আগে ৮ নভেম্বর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশিদ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ৫ অক্টোবর বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওইদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে বদরুল চিৎকার করে বলে, ‘আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক।’ ১ মার্চ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
এবিএন/শংকর রায়/জসিম