শেরপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঢাকা, ০৯ মার্চ, এবিনিউজ : শেরপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো- ঝিনাইগাতীর গিলাগাছা গ্রামের আব্বাস আলীর পুত্র নূর হোসেন (১৬), শেরপুর পৌর শহরের শেরীপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ছানুয়ার হোসেন ওরফে মান্নান (১৫) ও একই এলাকার মরহুম শাহাদতের পুত্র বিষু (১৯)। এদের মধ্যে ছানুয়ার হোসেন জামিন নেয়ার পর পলাতক রয়েছে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে আসামী নূর হোসেন একটি মোবাইল চুরি করে তা বিক্রি করে। এ সময় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী বিল্লাল তা দেখে ফেলে এবং মোবাইল বিক্রির টাকার ভাগ চায় । কিন্তু নূর হোসেন তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরদিন বিল্লাল কয়েকজনের সামনে নূর হোসেনকে চোর বলে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূর হোসেন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১১ সালের ২৪মে রাতে নূর হোসেন তার সহযোগি ছানুয়ার ও বিষু বিল্লালকে ফুঁসলিয়ে সিনেমা দেখাতে হলে নিয়ে যায়। পরে তাকে সদর উপজেলা বয়রা পরানপুর ভাটারাঘাট এলাকার মৃগী নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা বিল্লালের পা বেঁধে গরুর ধারাল হাড় দিয়ে গলা ও পেট কেটে ফেলে। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বিল্লালের লাশ একটি ট্রাংকের ভেতর ঢুকিয়ে মৃগী নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

পরদিন জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে ওই ট্রাংকের সন্ধ্যান পায়। পরে পুলিশ এসে বিল্লালের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ৩জনকে গ্রেফতার করে এবং তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। পরে সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ আগস্ট সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়া সত্বেও আসামিদের বয়স কম হওয়ায় মৃত্যুদন্ড প্রদান না করে তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি