শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • মিডিয়া
  • সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে প্রভাষ আমিনের ফেবু স্ট্যাটাস

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে প্রভাষ আমিনের ফেবু স্ট্যাটাস

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে প্রভাষ আমিনের ফেবু স্ট্যাটাস

ঢাকা, ২০ মে, এবিনিউজ : রাজধানীর গ্রীন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর এই নিয়ে জল অনেক দূরই গড়িয়েছে। মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম আফিয়া আক্তার চৈতী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং এ নিয়ে হাসপাতালে শিক্ষার্থী কর্তৃক ভাংচুরের ঘটনায় সরগরম সারা দেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। আজ শনিবার এবিষয়ে বেসরকারী টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ প্রভাষ আমিনের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ব্যক্তিগত কিছু যৌক্তিক মতামত তুলে ধরেছেন তিনি। এর সাথে সাথেই এই স্ট্যাটাসের নিচে বেশ কিছু কমেন্টও পড়তে থাকে।

এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম পাঠকদের জন্য প্রভাষ আমিনের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে প্রভাষ আমিনের ফেবু স্ট্যাটাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফিয়ার মৃত্যু দুঃখজনক। এই বয়সের একটি মেয়ের মৃত্যু যে কাউকে ছুঁয়ে যাবে। তার বন্ধুদেরও নিশ্চয়ই খুব মন খারাপ হয়েছে। কিন্তু তাই বলে হাসপাতালে ভাঙচুর, ডাক্তারদের মারধোর, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার- সব মিলে বিষয়টা বাড়াবাড়ি হয়েছে। ভুল চিকিৎসা হয় না, তা বলছি না, আকছার হয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যে মানের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে সার্টিফিকেটধারী ভুয়া ডাক্তারের সংখ্যা আরো বাড়বে। কিন্তু যাদের দেখে এখনও বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখি, ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ তাদের একজন। আফিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় যে ৯ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে, তার এক নম্বরে অাছে ডাঃ আব্দুল্লাহর নাম। পত্রিকায় দেখলাম, পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতালের এক পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে, পরে আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। বাকি ৮ আসামী নাকি পলাতক। তারমানে ডাঃ আব্দুল্লাহও পলাতক। কী অবিশ্বাস্য! ডাঃ আব্দুল্লাহকে আসামী করা আসলে গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই আসামী করার নামান্তর। আগেই বলেছি, ভুল চিকিৎসা হয়। কিন্তু ডাঃ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে ভাঙচুর, মারধোর, মামলা করলে আমাদের আমাদের আর ভরসার জায়গা থাকে না। ভুল চিকিৎসায় যেমন রোগী মারা যেতে পারে, তেমনি সঠিক চিকিৎসার পরও মারা যেতে পারে। আফিয়া ডেঙ্গুতে মারা গেছেন না ব্লাড কান্সারে, তার চিকিৎসা ঠিক ছিল না ভুল; সেটা বিচারের ক্ষমতা নিশ্চয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রক্টর, সাংবাদিক বা পুলিশের নেই। ডাঃ আব্দুল্লাহ ভুল করেছিলেন কিনা, সেটা যাচাই করতে পারবেন ডাক্তাররাই। প্রয়োজনে বিএমডিসি বা বিএমএ তদন্ত করুক। কিন্তু অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বি এম আব্দুল্লাহর মত ডাক্তার ভুল চিকিৎসার মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছেন, এটা আমাদের সবার জন্যই লজ্জার।

* ডাঃ আব্দুল্লাহ পালিয়ে বেরাচ্ছেন, এই কথাটি লেখায় অনেকে অাপত্তি করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো উনি এই মামলার প্রধান আসামী এবং পুলিশের দৃষ্টিতে উনি পলাতক। আমি তাকে অসম্মানিত করার জন্য এটা লিখিনি, শুধু বাস্তবতাটা তুলে ধরেছি।

অনেকে বলছেন, ডাঃ আব্দুল্লাহ আমার পূর্ব পরিচিত বলেই আমি তার পক্ষে লিখেছি। আমি নিশ্চিত করে বলছি, তিনি আমার পূর্ব পরিচিত নন। বছর দশেক আগে রোগী হিসেবে একবার গিয়েছিলাম। কিন্তু ওনার সিরিয়াল পাওয়া অনেক কষ্টকর বলে পরে আর যাইনি।

এই স্ট্যাটাস-এ তানভীর আহমেদ নামের একজনের কমেন্টটি নিচে দেওয়া হলো:

যারা যারা আব্দুল্লাহ স্যারকে মারতে চাইছেন,,অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করছেন,,তারা কি আসলে সজ্ঞানে করছেন,,,??

দয়া করে এটা পরুন::::

প্রফেসর এবিএম আবদুল্লাহ স্যারের ছেলে ডাক্তার Sadi Abdullah এর লেখা,,,,,,,,,,,,,

যারা স্যার সম্পর্কে জানেন না, তারা চোখ বুলাতে পারেন,,,,

""আব্বু, এই রিসেন্ট ঘটনা নিয়ে যা হলো তাতে পুরো ডাক্তার সোসাইটি খুব কষ্ট পাচ্ছে।ছেলে হিসেবে আমার কষ্ট টা আরেকটু বেশি। হসপিটালে ভাংচুর এর যেই কালচারটা এই দেশে চালু হয়েছে তুমি যখন এটা নিয়ে পেপারে লেখা দিতে গেলা আমি রাগ দেখালাম,কি দরকার এইসব নিয়ে লেখার।মানুষ মনে রাখবে না,কোন প্রতিকার ও হবে না।তুমি বল্লা মানুষ মনে রাখার জন্য তো লিখি না।দেশের মানুষ এর যদি একটু উপকার হয়।আর আজ সেই অভিযোগ তোমার এগেনেস্টে।যারা এটা করছে তারা জানে না কার সাথে করছে,তাদের ফাইট করার কোন গ্রাউন্ড নাই,তাও তারা হুযুগে লড়াইয়ে নামলো।যেই মেয়ে AML এ মারা গেলো তার প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আল্লাহ্‌ তার মাগফিরাত করুক।কিন্তু যারা আবেগ এর নামে কিছু বিবেচনা না করে ভুল চিকিৎসার ধোঁয়া তুললো, ভাংচুর করলো,মামলা করলো তাদের প্রতি গভীর গভীর অশ্রদ্ধা।

আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে তোমাকে যা দিয়েছে তাতে তুমি চাইলে অনকে কিছু করতে পারতা।কিন্তু সেই ৯০০ টাকার বাটা স্যান্ডেল আর ইন ছাড়া হাফ শার্ট পড়ে BSMMU, চেম্বার যাওয়ার এই ছিলো তোমার ড্রেস। জীবনে একটা মাত্র ব্লেজার বানালা সাবাহর বিয়ের সময়।এই ৩০০ টাকার ভিজিট থেকে মিনিমাম ৫০০ টাকা করতে কতো তোমার সাথে রাগ দেখালাম।টেক্টফুল্লি প্রসঙ্গ এভোয়েড করতা।বই লেখার জন্য চেম্বার থেকে এসে এক গাধা টেক্সট বই নিয়ে বসে কত কষ্ট করেছো আমি জানি।শুধু নেক্সট জেনারেশন ডাক্তাররা যাতে উপকৃত হয়।তাতে দেশ ও জাতির উপকার হবে।এই ছিলো তোমার ধ্যান।খুব খুব শর্টে এই তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার,আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা।

এই দেশ তোমাকে কিছু দেয়নি কখনো বলবো না।মানুষ এর অপরিসীম ভালবাসা তোমার জন্য।তোমার স্টুডেন্টরা তোমাকে পিতার মত ভালবাসে।আল্লাহ্‌ এর রহমতে তুমি একুশে পদক পেয়েছো।দেশের খুব নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষজন আল্লাহ্‌ এর হুকুমে তোমার ট্রিটমেন্টে সুস্থ হচ্ছে।দেশের প্রতিটা প্রান্তে আল্লাহ্‌ তোমার সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে।এই দেশ তোমাকে অনেক দিয়েছে।

কিন্তু দেশের কতিপয় মানুষ যারা না বুঝে তোমাকে বিনা কারণে এই হেয় করলো তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।দেশের নানা প্রান্তে যেখানে ডাক্তাররা লাঞ্ছিত হচ্ছে তোমার উছিলায় এর একটা প্রতিকার বের করতে হবে।এই কালচারটা বন্ধ করতে হবে।কতিপয় অপদার্থ সাংবাদিক এর লেখনীর জন্য দেশের মানুষ আর ডাক্তার এর মাঝে বিরোধ তৈরি হয়।সাংবাদিকদের প্রতি বিরূপ ধারনা তৈরি হবে এটা আর কত?? দেশে লোভী ডাক্তার নাই,অদক্ষ ডাক্তার নাই,বিহেভিয়ার প্রবলেম নাই, এটা কখনোই বলবো না।কিন্তু এক এক করে তো প্রতিকার বের করতে হবে।যারা ভাংচুর করলো এরাই বড় হয়ে বড় ঘুষখোর হবে,দেশ ধ্বংসকারী হবে।কারণ ওদের তো কোন নীতি নাই,দেশের সম্পদ নষ্ট করতে ওদের কষ্ট হয় না।

তোমার উছিলায় প্রশাসন যদি এইবার ভাংচুর পার্টির এগেইনেস্টে নড়েচড়ে বসে,মিথ্যা হয়রানির বিরুদ্ধে এবার নামতেই হবে।ওদেরকে শাস্তি দিয়ে ফিউচারে এইদেশে কোন কিছু প্রমাণের আগেই এই অতি উৎসুক ভাংচুর পার্টির কার্যক্রম থামাতে হবে।দেশে এই আগাছাদের উপদ্রব কমাতে হবে।আল্লাহ্‌ তোমার সাথে থাকবেন।""

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত