বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • আদালত
  • হবিগঞ্জের ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

হবিগঞ্জের ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

হবিগঞ্জের ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

সিলেট, ২৫ জুলাই, এবিনিউজ : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আলোচিত ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বুধবার।

সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান আজ মঙ্গলবার রায়ের দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর জানান, গত বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হবে বলে আদেশ দিয়েছিল আদালত।

দেড় বছরেরও কম সময়ে এ মামলার সব প্রক্রিয়া শেষ হলো।

গত বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।

নিখোঁজের ৫ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।

২০১৬ বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন ৯ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আবদুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ৬ জনকে। এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

কারাগারে আছেন আরজু মিয়া, শাহেদ, আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া।

আর উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন।

গ্রেফতার ৫ জনের মধ্যে ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরও ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত