![হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/26/hobigong_90467.jpg)
সিলেট, ২৬ জুলাই, এবিনিউজ : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আলোচিত ৪ শিশু হত্যা মামলায় ৩ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।এ ছাড়া ৩ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান আজ বুধবার দেড় বছর আগের এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে রুবেল মিয়া, আরজু মিয়া ও পলাতক উস্তার মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আর রুবেলের ভাই জুয়েল মিয়া ও শাহেদকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার জুয়েল-রুবেলের বাবা আবদুল আলী বাগাল এবং পলাতক আসামি বাবুল মিয়া ও বিল্লালকে আদালত খালাস দিয়েছে।
গত বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।
নিখোঁজের ৫ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।
২০১৬ বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন ৯ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আবদুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ৬ জনকে। এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আবদুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরও ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ