বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • মিডিয়া
  • চলচ্চিত্র পাইরেসিতে অপরাধ বাড়ার সাথে সাথে ধ্বংস হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্প!

চলচ্চিত্র পাইরেসিতে অপরাধ বাড়ার সাথে সাথে ধ্বংস হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্প!

চলচ্চিত্র পাইরেসিতে অপরাধ বাড়ার সাথে সাথে ধ্বংস হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্প!

ঢাকা, ১১ আগস্ট, এবিনিউজ : বর্তমানে মুভি পাইরেসির কারনে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র হুমকির মধ্যে বলে বিভিন্ন সংস্কৃতিপ্রিয় ব্যক্তিদের মতামত। বেশ কিছুদিন অনুসন্ধানে জানা যায়, এক শ্রেণীর অসাধুপায়ী ব্যক্তিদের কারনে, নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে, ফ্লিম চুরি করে অর্থের বিনিময়ে কপি পায়রেসিদের হাতে তুলে দিচ্ছে, যার কারনে দেশের প্রেক্ষাগৃহ সিনেমাহল এখন ধ্বংসের মুখে। এর কারন খুজতে গিয়ে জানা যায়, অনেক পুলিশ প্রশাসন'ই কপি পায়রেসি আইন সম্বন্ধে অবগত নন। তার’ই ধারাহিকতায় জনসচেতনতার জন্য বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরা হলো। কপিরাইট আইন ২০০০ এর ৪১ ধারার বিধান মতে কপিরাইট সমিতি গঠন ও নিবন্ধন করা যায়। এজন্য নির্ধারিত ফরমে সমিতি নিবন্ধনের জন্য রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রার উক্ত আবেদন সরকারের নিকট দাখিল করবেন। প্রণেতা এবং এ আইনের অধীন অন্যান্য অধিকারের মালিকদের স্বার্থ, জনস্বার্থ ও জনগণের সুবিধা, আবেদকারীর যোগ্যতা এবং পেশাগত দক্ষতা বিবেচনা করে সরকার নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে কোন সমিতিকে কপিরাইট সমিতিরূপে নিবন্ধিত করবে। একই শ্রেণীর কর্মের ব্যবসা করার জন্য একের অধিক সমিতিকে নিবন্ধন করা যাবে না।

এছারা কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন এ কপিরাইট রেজিস্ট্রাশনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি এর ট্রেজারি চালান, কর্মের ২ কপি নমুনা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিলসহ নির্ধারিত ফরমে রেজিস্ট্রার অব কপিরাইট এর নিকট আবেদন করতে হয়। রেজিস্ট্রার প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে কর্মের বিবরণ রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভূক্ত করেন। (ধারা-৫৫)। ৭. দেওয়ানি ও ফৌজদারী প্রতিকারের বিধান কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি উভয় ক্ষেত্রে প্রতিকার পাবার বিধান রয়েছে। দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতিপূরণ আদায় ইত্যাদি এবং ফৌজদারি আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড-জরিমানা সংক্রান্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। (ধারা-৭৫-৮১) ৮. কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য পাচ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। চলচ্চিত্র ব্যতিরেকে কোন কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য অনুর্ধ্ব চার বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। (ধারা-৮২), ৯. লঙ্ঘিত অনুলিপি জব্দ করতে পুলিশের ক্ষমতা অনুসারে সাব-ইন্সপেক্টরের নিম্নতর পদাধিকারী নন এমন যেকোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি সন্তষ্ট হন যে, ধারা-৮২ এর অধীনে কোন কম্পিউটার কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত কোন অপরাধ সংঘটিত হযেছে, হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে তবে তিনি গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই কর্মটির সকল অনুলিপি তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত প্লেট জব্দ করতে পারবেন এবং অনুরূপভাবে জব্দকৃত সকল কপি এবং প্লেট যত দ্রুত সম্ভব একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপসস্থাপন করবেন। জব্দকৃত কোন কর্মের অনুলিপি, যন্ত্রপাতি স্বার্থসংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি ১৫ দিনের মধ্যে অনুরূপ অনুলিপি বা যন্ত্রপাতি তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করতে পারবেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর শুনানি গ্রহনের পর উপযুক্ত আদেশ প্রদান করবেন। (ধারা-৯৩)১০. রেজিস্ট্রার আদেশের বিরুদ্ধে আপীল রেজিস্ট্রারের কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুব্ধ যে কোন ব্যক্তি ঐ সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে কপিরাইট বোর্ডের নিকট আপীল করতে পারবেন। (ধারা-৯৫). ১১. বোর্ডের আদেশের বিরূদ্ধে আপীল

ধারা-৯৫ এর অধীন আপীলে প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ ব্যতীত বোর্ডের কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি ঐ সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করতে পারবেন। (ধারা-৯৬) ১২. কতিপয় কার্য কপিরাইট লংঘন নয় গবেষণাসহ ব্যক্তিগত অধ্যয়ন বা ব্যক্তিগত ব্যবহার, বিচারিক কার্যধারার রিপোর্টের উদ্দেশ্যে সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও শিল্পকর্ম পুনরুৎপাদন, জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক কেবল সংসদ সদস্যদের ব্যবহারের জন্য পুনরুৎপাদন, শিক্ষক বা ছাত্র কর্তৃক শিক্ষাদান প্রক্রিয়া বা পরীক্ষায় উওর দানের জন্য পুনরুৎপাদন, কোন অপেশাদার ক্লাব বা সমিতি অথবা কোন ধর্মীয়, দাতব্য বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপকারার্থে উপস্থাপন করা হয় এমন কোন সাহিত্য, নাট্যকর্ম, সংগীত বিষয়ক কর্মের সম্পাদনার পুনরুৎপাদন, জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন ব্যতীত সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে এমন কোন বিষয় পুনরুৎপাদন, আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যান্য বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ কপিরাইট লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে না। (ধারা-৭২)। এ বিষয়ে চিত্র নায়ক রুবেল প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, বর্তমান কপি পাইরেসী অপকর্মের কারনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র আজ ধ্বংসের কারন হয়ে দারিয়েছে, তাই অতিদ্রুত সাংবিধানিক আইন বাস্তবায়ন করে প্রকৃত অপরাধী কে আইনানুক শাস্তি প্রয়োগ করলেই হয়তো চলচ্চিত্র শিল্পজাতী প্রাণ ফিরে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

এবিএন/জিল্লুর রহমান/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত