শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • মিডিয়া
  • রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবরে সেন্সর: মিয়ানমারের টিভিকে বিবিসি’র না

রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবরে সেন্সর: মিয়ানমারের টিভিকে বিবিসি’র না

রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবরে সেন্সর: মিয়ানমারের টিভিকে বিবিসি’র না

ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের খবর সেন্সর করায় মিয়ানমারের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এমএনটিভি’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বিবিসি। দেশটির গণমাধ্যম মিজিমা তাদের এক খবরে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

২০১৪ সালের এপ্রিলে বিবিসি বার্মিজ ভাষার চ্যানেলটির সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তি করে। এটি বিবিসি বার্মিজ ভাষার জনপ্রিয় চ্যানেল। দিনে চ্যানেলটির দর্শক প্রায় ৩৭ লাখ। গ্রেপ্তারের পর মিয়ানমারের জান্তা সরকার দেশটির নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সূচিকে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি রাখে। সে সময়ে এমএন টিভি সূচির পক্ষে ভালো ভূমিকা পালন করে দর্শকপ্রিয়জতা অর্জন করে।

বিবিসি’র চুক্তি বাতিলের ঘোষণাকে দেশটির স্বাধীন গণমাধ্যমের অগ্রগতিতে বড় ধরনের ধাক্কা বলে বিবেচনা করে হচ্ছে।

সোমবার বিবিসি বার্মিজ ভাষার চ্যানেলটি এক বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলটির সঙ্গে যখন চুক্তি করা হয়, তখন এ ধরনের কোনো শর্ত ছিল না যে, সংখ্যাঘলু রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবর সেন্সর করতে হবে।

কিন্তু এমএন টিভি যা করেছে, তা চ্যানেলটির সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তি আর দীর্ঘায়িত হবে না। ফলে চলতি বছরের মার্চ থেকে যেসব প্রোগ্রাম রয়েছে, তাও বাতিল হয়ে যাবে।

যৌথ প্রযোজনায় কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করলেও সেখানে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান বিবিসি কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ কিংবা সেন্সরশিপ অনুমোদন করে না। কিন্তু এমএন টিভি সেটি করে বিবিসি এবং দর্শকদের মধ্যকার বিশ্বাস ভঙ্গের সঙ্গে সম্প্রচার নীতিমালাও লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি বিবিসির।

তবে কোন কনটেন্টটি এমএন টিভি সেন্সর করেছে, তা বিবিসি জানায়নি। আর এ বিষয়ে এমএন টিভি কর্তৃপক্ষও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে চ্যানেলটির একটি সূত্রের দাবি, বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিবিসির যে দৃষ্টিভঙ্গি তার ব্যতয় ঘটিয়েছে এমএন টিভি।

মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী। মিয়ানমার তার পশ্চিমাঞ্চলের এই রাজ্যে বসবাসকারীদের প্রায় ৮ লাখ মানুষকে নাগরিক বলে স্বীকার করে না। বাঙালি দাবি করে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই নির্যাতনের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় সেনারা। সে সময়ে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

আর সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ আগস্ট। এরপর থেকে মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচির কার্যালয়ের হিসাবে, সেনা অভিযানে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। যদিও রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি, নিহতের এই সংখ্যা ৮ শতাধিক।

২৪ আগস্ট থেকে রাখাইন থেকে পালিয়ে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত