
১০ লক্ষ রোহিঙ্গা যেভাবে কক্সবাজারের পরিবেশকে বিপন্ন করছে।
১। কক্সবাজার অঞ্চলের সকল স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আশ্রয়কেন্দ্র এবং ত্রান ভান্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
২। নির্বিচারে সেখানে পাহাড় এবং বন উজার হচ্ছে । পাহাড় এবং বন ধ্বংস করে সেখানে রোহিঙ্গারা তৈরী করে নিচ্ছে আশ্রয়স্থল।
৩। স্থানীয়রা যে পাহাড়ের ঢালে বা জমিতে ফসল উৎপাদন করতো সেখানটা দখল করে নিয়েছে রোহিঙ্গারা। এতে করে ফসল উৎপাদন মারাত্মক বিঘ্ন হচ্ছে , তরিতরকারির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪। অত্যধিক মানুষের চাপে সেখানকার পয়নি:স্কাশন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যেকোন সময় রোগবালাই মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
৫। সেখানে অসামাজিক কাজ বেড়ে গেছে। সামাজিক নিরাপত্তা ভেঙ্গে পড়েছে। সামাল দেয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
৬। রোহিঙ্গাদের হাতে মোবাইল সিম তুলে দেয়ার কারনে সেখানে অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। এ সিম ব্যবহার করে তারা ব্যবসাও করছে।
৭। কক্সবাজার পর্যটন এলাকা এখন রোহিঙ্গাদের অভয়ারণ্য। বিশ্ববিখ্যাত সৈকত এখন নিরাপদ নয় পর্যটকদের জন্য।
৮। বিভিন্ন কৌশলে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তাদেরকে ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এ সমস্যগুলো যদি দ্রুত এড্রেস করা না হয় তবে সমস্যা স্থায়ী রূপ নিবে। যা আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য মারাত্মক হুমকী।
রতন কুমার মজুমদার’র স্ট্যাটাস থেকে