বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

মা, বাবার কোনো মে দিবস নেই...

মা, বাবার কোনো মে দিবস নেই...

মা, বাবার কোনো মে দিবস নেই। কারো মা, বাবারই সন্তানের বেলায় মে দিবস থাকে না। আমাদের মা, বাবারও তা ছিলো না। শ্রমিক মা, বাবার ক্লান্তিহীন শ্রমের পরও চাওয়া একটাই। তাদের সন্তানের ভাতের থালা যেন কখনো শূন্য না থাকে। প্রতিবেলার জন্য কয়েক মুঠো করে হলেও যেন অন্ন থাকে।

মা, বাবার শ্রম ভোগ করছে পুঁজিবাদ। এক শ্রেণির মালিক। শ্রমিকের টাকা লোপাট করেও মালিক রক্ষা পেয়ে যাচ্ছেন আইনের পুঁজিবাদী ফাঁক-ফোকরে। লুটেরা মালিকরা শরীরে ধর্মীয় পোশাক জড়িয়ে। বা মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে এসে পুঁজিবাদী সমাজের চোখে ধার্মিক বনে যাচ্ছেন। লুটের টাকায় মসজিদ বা উপাসনালয় বানিয়ে হয়ে ওঠছেন ধর্মের প্রতিনিধি।

যিনি সাহস করে বলছেন, 'পুঁজিবাদীরা ধর্মকে টাকা আর মসজিদকে ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছেন।' তাকেই ধর্মান্ধরা 'নাস্তিক' উপাধি দিচ্ছেন। কতল করতে উদ্যত হচ্ছেন। চারপাশে পুঁজিপতিদের রাজনীতির জয়। তাদের স্বার্থকে গণমানুষের স্বার্থ বানিয়ে অপপ্রচারের ঢোল বাজাচ্ছেন পুঁজিবাদের উচ্ছিষ্ট খাওয়া বুদ্ধিজীবীরা।

বৈষয়িক সুবিধার কাছে নত স্বীকার করছে ব্যক্তির আদর্শ। এক সময়ের সমাজতান্ত্রিক কবি আল মাহমুদরাও আজকাল 'কদর রাত্রির প্রার্থনা' লিখছেন। শ্রমজীবীরা উপোস সন্তানের ক্ষুধার কান্না মেটাতে বছরের পর বছর ধরে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। ঈশ্বর ছাড়া তাদের আর কে আছে!

হাসান শান্তনু’র স্ট্যাটাস থেকে

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত