
ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্টাকে নটরডেম থেকে আলাদা করা কঠিন। দীর্ঘদিন ছিলেন নটরডেম কলেজের প্রিন্সিপাল। শেষে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। থাকতেন নটরডেম ক্যাম্পাসেই। সত্যিকারের মানুষ গড়ার কারিগর বলতে যা বোঝায়, তিনি ছিলেন তাই। এমন সহজ সরল আলোকিত মানুষ আমি খুব বেশি দেখিনি। অল্প হলেও এই মানুষটির সাহচর্য্য পেয়েছি, যা লালন করবো সযতনে। একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। একবার আমার টক শো শেষে যাবেন। আমি সাধারণত আমার অতিথিদের গাড়িতে তুলে দেই। নিচে নেমে জিজ্ঞাসা করলাম, ফাদার আপনার গাড়ি কই? বললেন, আমি হেঁটে প্রথম আলোর সামনে থেকে গাড়িতে উঠবো, আমাকে একবারে কলেজের সামনে নামিয়ে দেবে। জানলাম তিনি এসেছেনও সিএনজিতে। তার বিনয় আর চাহিদাহীনতা দেখে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল। প্রায় জোর করেই অফিসের গাড়িতে তুলে দিলাম। এরপর আমন্ত্রণ জানালেই তাঁর আসা-যাওয়াটা আমি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করতাম।
জানি এপারে যেমন ওপারেও ভালো থাকবেন ফাদার।
প্রভাষ আমিন’র স্ট্যাটাস থেকে