
ভৈরবের দ্বিতীয় রেল সেতু নির্মাণ শেষ (!) - শিগগিরই উদ্বোধন
হাঁ,
সদ্য সমাপ্ত ভৈরববাজারে মেঘনা নদীতে তৈরী, নতুন (২য়) রেলসেতুটি একটি সুন্দর স্থাপনা।
যদিও নির্মাণ কাজে প্রায় দ্বিগুন সময় নিয়েছে ঠিকাদার!
এবং এখনও কাজ পুরোপুরি শেষ হয় নাই।
“রেল লাইনের তিনটি পয়েন্ট জোড়া লাগাতে হবে। সিগনালের কাজ চলমান” - প্রকল্প পরিচালক
তবে,
এটি আমাদের কোন গর্বের বা অহংকার এর নিদর্শন না, বরঞ্চ এটি আমাদের বড় ক্ষতির চিহ্ন!
কারন
এতে কয়েকটি বড় বড় “ভুল” হয়েছে!
প্রথমেই,
মেঘনা নদীর মত একটি বড় নদীতে – ১০০ মিটারের মধ্যে ৩ টি বড় বড় “ব্রীজ” বানিয়ে আমরা ‘আত্মহত্যামুলক’ একটি ভুল করেছি।
• এতে নদীর নাব্যতা নষ্ট হবে।
• এতে নদীর ভাটিতে বেশী করে চর পরবে!
• আর অর্থনৈতিক - পরিবেশগত ক্ষতি তো আছেই!
মাত্র ১৫ বছর আগে, ২০০৩ সালে বর্তমান রেল সেতুর পাশেই আরেকটি সড়ক সেতুর পরিকল্পনা করার সময়ই –
আমাদের এই নতুন (২য়) রেলসেতুর “প্রয়োজনীয়তা” চিন্তা করে এই সেতুগুলির পরিকল্পনা করা উচিৎ ছিল।
আর,
এই নতুন ২য় রেল সেতু নির্মাণ পরিকল্পনায় আমাদের রেল বিভাগের বড় বড় কর্মকর্তা গন, যে ‘বড় ভুল’টি করেছেন -
তা হচ্ছে-
‘ডাবল’ রেল লাইনের এর রেলসেতু না বানিয়ে – ‘সিঙ্গেল’ (কিন্তু ডাবল গ্যেজ) রেল লাইনের এর রেলসেতু বানিয়ে!
এই চরম ভুলের মাশুল - কয়েক বছর পরেই আমাদের দিতে হবে – ঐ স্থানে আরেকটি নতুন (৩য়) রেলসেতু নির্মাণ করে!
কারন,
বর্তমানের রেল সেতুটির “সেইফ স্ট্রাকচারাল লাইফ” –
অর্থাৎ ‘নিরাপাদ’ ভাবে সেতু ব্যবহারের ‘সময়’ – প্রায় শেষ – হয়তো আর ১৫/২০ বছর আছে।
তাই,
এই কয়েক বছর পরে বর্তমানের রেল সেতুটি রেল চলাচলের জন্য আর নিরাপদ থাকবে না –
কিছু নতুন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিক’ প্রয়োগ করে এবং প্রচুর টাকা খরচ করে –
পুরাতন রেলসেতুর “সেইফ স্ট্রাকচারাল লাইফ” বড় জোর আরও ১০/১৫ বছর বাড়ানো যাবে।
কিন্তু,
এই সম পরিমান বা এর চেয়ে কিছু বেশী অর্থ খরচ করেই –
নব নির্মিত ‘সিঙ্গেল’ রেল লাইনের এর রেলসেতুর পরিবর্তে –
আরও ১২০ থেকে ১৫০ বছরের “সেইফ স্ট্রাকচারাল লাইফ” এর ‘ডাবল’ রেল লাইনের এর রেলসেতু বানিয়ে –
দেশের বিশাল ও অনেক ‘অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতি’ না বাড়ালেই পারতাম।
তাই আমার প্রস্তাবনা,
যারা এই রেল ও সড়ক সেতু সমূহের পরিকল্পনা-নক্সা-ডিজাইন এর সাথে (প্রকৌশলী–পরিকল্পনাবিদ-অর্থনীতিবিদ-আমলা সহ উপরের দিকে এবং নীতি নির্ধারক হিসাবে যারা) প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন –
তাদের সব্বাইকে খুব তাড়াতাড়ি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি --
যেমন –
• চাকুরী থেকে চিরদিনের জন্য বরখাস্ত।
• চাকুরীর সকল সুযোগ সুবিধা কেটে নেয়া এবং
• অন্তত ৫ বছরের সশ্রম কারা দণ্ড
দেয়া হোক!
তাহলে,
আমাদের দেশের উপরের দিকে এবং নীতি নির্ধারক পর্যায়ের বড় বড় কর্মকর্তা গন
এই ধরনের দেশ বিরোধী বড় বড় এবং জঘন্য ভুল করবেন না!
শফিকুর রহমান অনু’র স্ট্যাটাস থেকে